প্রতীকী ছবি।
অনুষ্কা শর্মা সাম্প্রতিকতম একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি ৫.৩০ থেকে ৬টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেন। এটা নাকি তাঁর দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। নায়িকা জানিয়েছেন, ভামিকা হওয়ার পরে যে দ্রুত ওজন ঝরিয়ে ফেলেছিলেন, তা-ও সম্ভব হয়েছে একমাত্র রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নেন বলেই।
শুধু অনুষ্কা নন, বলিউডের আরও অনেক তারকারই ছিপছিপে থাকার নেপথ্যে রয়েছে তাড়াতাড়ি নৈশভোজ সেরে নেওয়ার অভ্যাস। রাতের খাবার তাড়াতাড়ি খেয়ে নিলে অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। মাঝরাতে খাবার খেতে বসলে তার বিরূপ প্রভাব যে শরীরের উপর পড়ে, তা আলাদা করে বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। রাত করে খাওয়া মানেই হজমের গোলমাল। সময় বাঁচিয়ে যদি রাতের খাবারটা আগে খেয়ে নেওয়া যায়, তা হলে সত্যিই অনেক উপকার পাওয়া যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। মোটা হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমানো যায়।
একই কথা বলছেন চিকিৎসক সুর্বণ গোস্বামীও। চিকিৎসকও বলেন, ‘‘খাদ্যাভ্যাসের উপর আমাদের শরীর অনেকটাই নির্ভর করে। কী খাব এবং কোনগুলি খাব না, সেটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই কখন খাচ্ছি, সেটাও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হবে। কেউ যদি ১১টায় ঘুমোতে যান, তাঁকে ৮টায় খেয়ে নিতে হবে। ওজন কমানোর প্রাথমিক শর্ত কিন্তু বেশি রাত করে খাবার না খাওয়া। তা ছাড়া, রাতের খাবার হতে হবে সবচেয়ে হালকা। বেশি ভারী খাবার রাতে এড়িয়ে যাওয়া ভাল। বিশেষ করে বয়স্কদের তো রাতে তাড়াতাড়ি খেয়ে নেওয়াই উচিত। কারণ অবসরের পর শারীরিক পরিশ্রম অনেকটাই কমে যায়। সারা দিনই প্রায় বিশ্রামে থাকা। সে ক্ষেত্রে রাত করে খেলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।’’
এমন অনেকেই আছেন, যাঁদের কাজ থেকে বাড়ি ফিরতে রাত হয়। ফিরেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হতে আরও খানিকটা সময় যায়। খেতে বসার নির্ধারিত সময় তত ক্ষণে পেরিয়ে যায়। তা ছাড়া, সারা দিন ১২-১৪ ঘণ্টা খাটনির পর সত্যিই তখন আর রান্না করতে কিংবা ফ্রিজ থেকে খাবার বার করে গরম করে খেতে ইচ্ছে করে না। অনলাইনে কিছু খাবার আনিয়ে নেন। একে তো মাঝরাতে খাচ্ছেন, তার উপর বাইরের খাবার। কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে এর ফলে? সুস্থ থাকার উপায় কী? চিকিৎসকের কথায়, ‘‘এই অনিয়ম ডেকে আনছে স্থূলতার সমস্যা। বাড়ি ফিরতে যদি দেরিও হয়, তা হলে হাত-পা ধুয়ে সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে নেওয়া জরুরি। বাকি যা কিছু কাজ, খাওয়ার পরে করাই শ্রেয়। তত ক্ষণে খাবারও হজম হয়ে যাবে। খাবারের সঙ্গে জল না খেয়ে যদি ঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত অল্প অল্প করে জল খেতে থাকেন, তা হলে হজম ভাল হবে। ঘুমও ভাল হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy