বাংলায় প্রবন্ধের বই সাধারণত পত্রিকায় প্রকাশিত লেখালেখির সংকলন হয়ে থাকে। কিন্তু অত্যাশ্চর্য ঘটনা, ইংরেজির মাস্টারমশাইয়ের এই লেখা পরিকল্পিত ও প্রকাশিত হয়েছে একটি বই হিসেবেই।
রাজনীতির অনেক আগেই সাহিত্যের সঙ্গে আলাপ তাঁর। নাটকের সঙ্গেও সম্ভবত। গোদার কিংবা গিরিশ ঘোষ, শিশির ভাদুড়ি বা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়— এক বিরাট বারান্দায় হাঁটাচলা করেছেন ব্রাত্য তাঁর এই সংকলনে।
শুধু সাংসদ বা অভিজাত পরিবারের গৃহবধূ নন, কৃষ্ণা বসুর প্রথম পরিচয় হওয়া উচিত প্রাবন্ধিক হিসেবেই। নানা জটিল বিষয় সরস ও সাবলীল ভাবে যে তাঁর কলমে উঠে আসত, তার সাক্ষ্য দিচ্ছে এই বই।
উত্তম কুমারের মুদ্রাদোষ ছিল কথায় কথায় ‘হরিবোল’ বলে ওঠা! কৌতুকশিল্পী নৃপতি চট্টোপাধ্যায় অনায়াসে পা তুলে দিতেন রিকশাচালকের কাঁধে! দৌরাত্ম্য ঠেকাতে মৌসুমি চট্টোপাধ্যায়কে কান ধরে এক পাশে দাঁড় করিয়ে রাখতে হতো শ্যুটিংকালে! এ সব কোনও গল্পকথা নয়। সব সত্যি। তেমনটিই লিখেছেন পরিচালক তাঁর স্মৃতিকথার দুই খণ্ড জুড়ে।
অপরিচিত বাঙালি আত্মকথা লিখে এক সময়ে বিশ্বখ্যাত হয়েছিলেন। খ্যাতির প্রয়োজন অমর্ত্য সেনের আর নেই। আজকের বাঙালির আত্মজীবনীতে পরিশীলন আর পরিশ্রমের ছাপ কম থাকে। এই আত্মকথা সে অভাব পূরণ করল।
জন্মসূত্রে বাঙালি ঝুম্পা লেখেন ইংরেজিতে। শ্বশুরবাড়ি ইটালি। দুঃসাহসী এই বঙ্গসন্তান ইটালিয়ানেই লিখে ফেললেন এক উপন্যাস। এ বার নিজেই সে বইকে রূপ দিলেন ইংরেজি ভাষায়।
দ্য নাটমেগ’স কার্স: প্যারাবলস ফর আ প্ল্যানেট ইন ক্রাইসিস
এক সাহসী অভিযাত্রী লেখক অমিতাভ ঘোষ। তাঁর যাতায়াত মিশরের হারানো সভ্যতা থেকে মায়ানমার-কম্বোডিয়া হয়ে সুন্দরবন পর্যন্ত। এ বার তিনি শোনালেন জাভার জায়ফলের রোমাঞ্চ কাহিনি।