কী করেন?
আসানসোলের কুলটি থেকে কলকাতায় ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে এসে সটান অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘প্রেম টেম’-এর নায়িকা। ২০২১-এ। অনিন্দ্য তখন তাঁর দিক-নির্দেশক। ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কখন কী করতে হবে, পরামর্শের জন্য তিনি এখনও প্রথম ছবির পরিচালকের উপর নির্ভরশীল। ক্রমশ ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে বড় প্রযোজনা সংস্থার হাত ধরে মডেলিং থেকে বিজ্ঞাপনের কাজ আর অভিনয়ে নিজেকে দ্রুত প্রকাশ করেছেন। প্রসেনজিৎ থেকে দেব, সোহম হয়ে জিৎ— টলিউডের তাবড় অভিনেতাদের প্রায় সকলের সঙ্গেই অভিনয়ের সুযোগে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জমি পোক্ত করেছেন।
কেন?
‘প্রেম টেম’-এর পরেই টালিগঞ্জে সকলের নজরে এসেছিলেন। তবে কে না জানে, সব সময়েই খ্যাতির সঙ্গী হয় সম্পর্কের গুজব। তবে সে সবে পাত্তা না দিয়ে একের পর এক কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন সুস্মিতা। অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর পরিচালনায় দেবের সঙ্গে একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করেন। সেখানে সুস্মিতার ঝকঝকে অভিনয় ভাল লেগেছিল সুপারস্টার েদেবের। ঘরের ছবি ‘কাছের মানুষ’-এ কাজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেব। প্রসেনজিতের সঙ্গে বিজ্ঞাপনে অভিনয় তাঁর কাছে ‘স্বপ্নপূরণ’। অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে ‘পাকা দেখা’-য় কাজ করে। অরিন্দম শীলের ‘খেলা যখন’-এ মিমি চক্রবর্তী আর সুদেষ্ণা রায়- অভিজিৎ গুহর ‘জয় কালী কলকাত্তাওয়ালি’-তে নুসরত জাহানের সঙ্গে রীতিমতো পাল্লা দিয়ে অভিনয় করেছেন সুস্মিতা। দু’টি ছবিই মুক্তির অপেক্ষায়। কাজ করতে গিয়ে শুধু আলাপ নয়, নুসরত এখন সুস্মিতাকে ‘ছোট বোন’ হিসেবে ভালওবাসেন।
আর কী?
ভালবাসেন বিরিয়ানি। কুকুর পছন্দ বলে পিঠে সেই মর্মে ট্যাটুও এঁকেছেন। যে কোনও পোশাকে ভিন্ন ভিন্ন চরিত্র হয়ে ওঠা সুস্মিতা ইনস্টাগ্রামে অনুরাগীদের সঙ্গে প্রায় নিয়মিত নানা মুহূর্ত ভাগ করে নেন। পছন্দ একলা বেড়ানো।
এর পর?
অভিনয়ই ধ্যান-জ্ঞান। কাজ ছাড়া আর কোনও দিকে মন নেই। প্রেম ভালবাসেন তবে বিয়ের দিকে মন নেই।