কী করেন?
বাঙালি অভিনেত্রী। জন্মেছেন কলকাতায়। বড় হয়েছেন দিল্লিতে। তবে মুম্বই শহরই সবচেয়ে আপন। শুনলে মনে হবে, অভিনেত্রীদের তো এমনই হয়। বলিউডের টান। কিন্তু এই বঙ্গকন্যাকে অভিনয় নিয়ে গিয়েছে বলিউড ছাড়িয়ে বহুদূর। বাঙালি বাবা-মা চেয়েছিলেন লেখাপড়ার পাশাপাশি নাচ-গানও শেখাতে। সেই থেকে শিল্পচর্চার সঙ্গে যোগাযোগ। নাচের শিক্ষাই অভিনয়ের দিকে টেনে নিয়ে যায়। দিল্লির বিভিন্ন নাট্যদলে অভিনয় করেন। তবে বড়পর্দায় কাজ করার ইচ্ছা ছিলই। সেই টানেই বছর পনেরো আগে মুম্বই পাড়ি দেন। গড়েন নতুন জীবন।
কেন?
নানা দেশের অভিনেতাকে নিয়ে তৈরি আমেরিকার ওয়েব সিরিজ ‘হুইল অব টাইম’-এর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে কাজ করছেন। এ দেশের যে ক’জন হাতে গোনা অভিনেতাকে নিয়মিত আন্তর্জাতিক স্তরের ছবিতে দেখা যায়, তাঁদের অন্যতম প্রিয়ঙ্কা বসু। অতিমারির মাঝেও প্রাগে গিয়ে সেরে আসছেন শ্যুটিং। নিকোল কিডম্যান, দেব পটেলের সঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘লায়ন’ ছবিতে। মহাশ্বেতা দেবীর ‘চোলি কে পিছে’ গল্প নিয়ে তৈরি ইতালীয় প্রযোজনা ‘গঙ্গোর’-এর নামভূমিকায় কাজ করেছেন। ‘গুজারিশ’ থেকে ‘লাভ সেক্স অওর ধোঁকা’— বলিউডের বহু সফল ছবিতে দেখা গিয়েছে প্রিয়ঙ্কাকে। অভিনয় করেছেন মরাঠি, তামিলের মতো বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষার চলচ্চিত্রেও।
আর কী?
কাজের সূত্রে দেশ-বিদেশে ঘুরতে হয়। কিন্তু প্রিয়ঙ্কার মন পড়ে থাকে বাড়িতেই। তেরো বছরের কন্যার মা। মেয়েকে নিয়ে রয়েছে নানা স্বপ্ন। ঘরে আছে পোষ্যরা। তাদের সঙ্গে সময় কাটান বেশি। বলেন, ‘‘লোকজন পছন্দ করি না, এমন নয়। তবে সব সময়ে সামাজিকতায় ব্যস্ত থাকতে ভাল লাগে না।’’ তাই কাজ ছাড়া বাকি সময়টা বাড়িতে, নিরিবিলিতে কাটাতেই চেষ্টা করেন।
এর পর?
বাঙালি হলেও বাংলাটা ভাল বলতে পারেন না। কাজ করা হয়নি তেমন কোনও বাংলা ছবিতেও। তা নিয়ে আক্ষেপ না থাকলেও, ভাবনা রয়েছে। আগামীতে শিখতে চান মাতৃভাষা। কাজ করতে চান বাংলা ছবিতে।