শালিমার
Presents
Powered by
Powered By

কে?পার্থ মজুমদার

পার্থ মজুমদার

কী করেন?

ভাইরাসের উৎস খুঁজতে অঙ্ক কষেন! কিন্তু শুধু ভাইরাস দিয়ে তাঁকে চেনা যায় না। ‘ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট’-এ অধ্যাপনা করেছেন। আবার নিছক পরিসংখ্যানবিদও নন। বহু কাল আগেই গণিতের গণ্ডী ছাড়িয়ে পার্থ মজুমদার ঢুকে পড়েছেন জিন-জগতে। জিনতত্ত্বের নানা দিক নিয়ে গবেষণা তাঁর। ক্যানসার থেকে শুরু করে শৈশবে হওয়া বিভিন্ন রোগ—সবই পার্থর গবেষণার অংশ। দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকেন্দ্র কল্যাণীর ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিক্যাল জেনোমিক্স’-এর প্রতিষ্ঠাও তাঁর উদ্যোগে।

কেন?

গণিতের পাশাপাশি জীবনবিদ্যার প্রতি আকর্ষণ ছিলই। আইএসআই-এর অধ্যাপকদের দেখানো দিশাতেই জিনতত্ত্ব নিয়ে চর্চা শুরু। গবেষণার বিষয় হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বংশ-ইতিহাস। আবার ক্রনিক রোগও ঢুকে পড়ে চর্চার কেন্দ্রে। কিন্তু অতিমারির সময়ে বাকি সকলের মতো গৃহবন্দি হতে হল ব্যস্ত বিজ্ঞানীকে। যার জন্য এমন সঙ্কট, ঘরে বসে সেই করোনাভাইরাস নিয়েই চর্চা শুরু করেন পার্থ। সঙ্গী হন এক ছাত্র। প্রথম এই দুই বিজ্ঞানীই ধরে ফেলেন ভাইরাসের কোন রূপ সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে সারা বিশ্বে। এক আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান পত্রিকায় সেই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হলে জানা যায়, এই তথ্য প্রথম তাঁরাই খুঁজে পেয়েছেন। 

আর কী?

মূলত বিজ্ঞানচর্চাই ব্যস্ত রাখে পার্থকে। গবেষণা ও অধ্যাপনার পাশাপাশিপত্রপত্রিকায় ‘পপুলার সায়েন্স’ নিয়ে লেখেন। তবে শুধুই জিন নয়, সুরের জগৎও টানে তাঁকে। কাজের ফাঁকে গান শোনেন। রবীন্দ্রসঙ্গীত যেমন প্রিয়, তেমনই আমেরিকার লোকগান খুব পছন্দ। বিশেষ ভাল লাগার নাম পিট সিগার।

এর পর?

অতিমারির কারণেই মন দিয়েছেন ভাইরাস চর্চায়। তবে বেশি দিন ভাইরাস নিয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। যত দ্রুত সম্ভব ফিরে যেতে চান ক্যানসার সংক্রান্ত গবেষণায়। কোন ধরনের চিকিৎসা পেলে রোগীর কোষ ঠিক ভাবে তাতে সাড়া দেবে, তা-ই পার্থর গবেষণার অঙ্গ। বলেন, ‘‘এই গবেষণা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারলে ক্যানসারের চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে যাবে।’’

  • Wedding Partner
    Wedding Partner
  • Healthcare Partner
    Healthcare Partner
  • Comfort Partner
    Comfort Partner
  • Literature Partner
    Literature Partner
  • Gadgets Partner
    Gadgets Partner
  • Jewellery Partner
    Jewellery Partner