কী করেন?
স্থপতি। ঢাকায় বাড়ি। কাজ করেন গোটা বাংলাদেশ জুড়ে। মসজিদ থেকে বসতবাড়ি-অফিস, সবেতেই আধুনিক ভাবনার ছোঁয়া। মেরিনা তবাসসুমের মূল মূল কাজ— দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থাপত্যে যেন তৈরি হয় বিশেষ একটি ধারা। বিশ্বের সব শহর যেন একই দেখতে না হয়ে যায়! নিজের দেশের বহুতলগুলিতে নতুন ভাষা তৈরি করতে চান। ‘মেরিনা তবাসসুম আর্কিটেক্টস’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান স্থপতি মেরিনা কাজ করেন স্বাধীন ভাবনার কদর-দেওয়া প্রকল্পে। বাংলাদেশের ‘ব্রাক’ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমকালীন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্থাপত্য-ভাবনা পড়িয়েছেন বহু বছর। আমন্ত্রিত অধ্যাপক হিসাবে পড়িয়েছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়, টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি ডেল্ফট এবং টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি মিউনিখে।
কেন?
ঢাকার বায়তুর রউফ মসজিদের নকশা তৈরির জন্য পেয়েছেন আগা খান পুরস্কার। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরার জন্য প্রশংসিত সেই নকশা। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে লেখাপড়া করে বন্ধুরা অনেকে বাংলাদেশ ছাড়লেওমেরিনা নিজের মতো করে দেশের জন্য কাজ করতে চেয়েছেন। তিনি চান,দ্রুত পরিবর্তনশীল বাংলাদেশে যেন অফিস, বাড়ি, প্রার্থনাগৃহে থাকে উপমহাদেশের সংস্কৃতির ছোঁয়া। আমেরিকা থেকে ব্রিটেন, বিভিন্ন দেশের বহু সম্মানে সম্মানিত। ২০২০ সালে মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন সাম্মানিক ডক্টরেট। স্থাপত্য সংক্রান্ত বহু কমিটির শীর্ষপদেওআসীন।
আর কী?
কাজে মন দেবেন বলে বিয়ে করেননি। অবসর সময়েও কাজ করতে পছন্দ করেন। তবে গাছ খুব প্রিয়। বাগান করেন মন দিয়ে। আগে রান্না জানতেন না। এখন নিজেকে ‘লকডাউন রাঁধুনি’ বলেন। জানান, বেশ কিছু খাবার বানানো শিখেছেন গত দু’বছরে। এখন রান্না করতে ভালই লাগে।
এর পর?
নিজের বিদ্যা এবং ভাবনা সমাজের উন্নয়নে ব্যবহার করতে চান। এখন যেমন ব্যস্ত ‘খুদি বাড়ি’ প্রকল্পের ভাবনা রূপায়ণে। মেঘনা নদীর ভাঙনে যাঁদের ঘরছাড়া হতে হয় বার বার, তাঁদের জন্য কম খরচে তৈরি করছেন ‘পোর্টব্ল বাড়ি’। যাতে ভাঙনের পর এলাকা-ছাড়া হতে হলেও ঘরছাড়া না হতে হয়।