কী করেন?
টলিউড অভিনেত্রী। সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা করছেন। একদা ধারাবাহিক ‘বোঝে না সে বোঝে না’-র ‘পাখি’ হয়ে বাঙালির ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিলেন। পরে প্রতিম ডি গুপ্তর ‘লাভ আজকাল পরশু’ দিয়ে বড় পর্দায়। মৈনাক ভৌমিকের ‘চিনি’ ছবির সাফল্যে সিনেমার পাশাপাশি ওয়েব সিরিজেও জায়গা করে নেনে।
কেন?
চলে-যাওয়া বছরে ওয়েব সিরিজে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে সকলের। ওটিটি মঞ্চের ছবি ‘উত্তরণ’-এ তাঁর বাস্তবিকই উত্তরণ হয়েছে। তবে নেটমাধ্যমেও নিজেকে প্রভাবী (ইনফ্লুয়েন্সর) করে তুলতে পরিশ্রম করেছেন। বাংলা ভাষায় কাজ করা অভিনেত্রীর ২১ লক্ষ ‘অনুরাগী’ সচরাচর দেখা যায় না। মধুমিতা এই ব্যাপারে ইন্ডাস্ট্রিতে দৃষ্টান্ত। ইনস্টাগ্রামে স্বল্প পোশাকে ছবির জন্য সমালোচনাকে পাত্তা দেন না। বলেন, “নিজেকে ধারাবাহিকের ‘ইমন’ আর ‘পাখি’ করে রাখতে চাইনি। নাটকের আগে যে মডেলিং করেছি, তা তো কেউ জানতই না। নিজেকে সব চরিত্রে যে ভাঙতে পারি, সব ধরনের পোশাকে যে আমাকে মানায়, সেটা নিজেই দেখতে চেয়েছিলাম। তাই ইনস্টাগ্রাম।”
আর কী?
সময় পেলেই একা বেরিয়ে পড়েন। দুর্গম কোনও পাহাড়ি নদী বা জঙ্গলে অভিযান। এক সময়ে বন্ধু নিয়ে হইহই করা মধুমিতা এখন একা থাকতেই বেশি ভালবাসেন। নিয়ম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জিমে কাটানো নয়। বদলে ঘাম ঝরাতে বাবার সঙ্গে টেবিল টেনিস খেলাই বেশি পছন্দের। অভিনয়ের প্রয়োজনে মার্শাল আর্ট শিখছেন। মনে করেন, ওজন কমানোর জন্য যে সব সময় ব্যায়াম, যোগ অথবা জিমে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। কেউ নাচতে বা সাঁতার কাটতে ভালবাসলে সেটাই নিয়ম করে করা উচিত। তাতে শরীর-মন দুয়েরই একসঙ্গে যত্ন নেওয়া হয়।
এর পর?
খুব শিগগির বিদেশে পাড়ি দেবেন সিনেমা নিয়ে পড়াশোনার জন্য। বাংলা ছাড়াও অন্য ভাষার ছবিতে কাজ করবেন। মৈনাক ভৌমিকের পরবর্তী ছবিতেও মূল চরিত্রে থাকবেন।