কী করেন?
মঞ্চাভিনয় দিয়ে শুরু। ছোট-বড় পর্দা, ওয়েব সিরিজেও সমান দাপট। সম্প্রতি টলিউডের গন্ডি ছাড়িয়ে পাড়ি দিয়েছেন বলিউডে। সহ-অভিনেতা রানি মুখোপাধ্যায়। নাটক নিয়ে পড়াশোনা রবীন্দ্রভারতী থেকে। অরিন্দম শীলের ‘ধনঞ্জয়’ হিসেবে নজর কেড়েছেন। তার আগে ‘ঈগলের চোখ’, ‘আরশিনগর’, ‘দুর্গা সহায়’-এ কাজ করে ফেলেছেন। অপর্ণা সেনের ‘ঘরে বাইরে আজ’, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘দ্বিতীয় পুরুষ’, ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘টিকটিকি’ তাঁর অভিনয় দক্ষতার সিলমোহর। সিরিজে তিনিই একক ‘ব্যোমকেশ’। তাঁর পরিচালিত মঞ্চসফল নাটকের তালিকায় রয়েছে ‘মেফিস্টো’, ‘পন্টু লাহা ২.০’, ‘অদ্য শেষ রজনী’, ‘কারুবাসনা’। ‘হাতিবাগান সঙ্ঘারাম’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। গানের গলাটিও বেশ। বাংলা ছবিতে নেপথ্যগায়কের কাজও করেছেন।
কেন?
ক্যামেরার সামনের মতো পিছনেও সমান সফল। তাঁর পরিচালিত প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘মন্দার’ অগাধ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ওটিটি মঞ্চে পরিচালনায় এসে প্রথমেই এমন সাফল্য সাম্প্রতিককালে কেউ পাননি। তা-ও একজন প্রথমসারির অভিনেতা হিসেবে।
আর কী?
মঞ্চই প্রথম প্রেম। অভিনয়ের টানেই মেদিনীপুর ছেড়ে কলকাতায়। গ্রাফিতি দিয়ে মুড়ে দেন পাড়ার দেওয়াল। কোথাও চার্লি চ্যাপলিন। কোথাও টম অ্যান্ড জেরি। অতিমারিতে গৃহবন্দি বিবর্ণ দিনগুলোয় তাঁর ভাবনায় ব্রহ্মপুর রঙিন। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সারল্য আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ছিল তাঁকে। প্রথম আমেরিকা যাত্রার আগে সফরের জন্য তৈরি হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপে বাংলায় লিখেছিলেন, ‘এই প্রথম আমি এত দূরে একটি জায়গায় যাচ্ছি। আমার অনেক কিছু দেখে বিস্ময় হবে। যদি অতিরিক্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফেলি, আপনারা মার্জনা করবেন।’ সেই সারল্য এখনও আছে? অনির্বাণ বলেন, সারল্য থাকুক বা না থাকুক, তিনি সহজ জীবনযাপনে বিশ্বাসী।
এর পর?
২০২ত সালে মুক্তি পাবে বাদল সরকারের নাটক ‘বল্লভপুরের রূপকথা’ অবলম্বনে তাঁর পরিচালিত ছবি। রানি মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনীত ছবি ‘মিসেস মুখার্জি ভার্সাস নরওয়ে’। টলিউডের গুঞ্জন, সন্দীপ রায়ের ছবি ‘হত্যাপুরী’-তে ‘ফেলুদা’ হিসেবে উঠে এসেছে দু’জনের নাম— ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য।