কী করেন?
এরিকসন গ্লোবাল সার্ভিসেস ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর। পাশাপাশি, এরিকসনের সফটঅয়্যার সংক্রান্ত বিশ্বের চারটি দেশ ভারত, চিন, রোমানিয়া এবং মেস্কিকোর গ্লোবাল সার্ভিসেস সেন্টারেরও প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত। এরিকসনের আগে আরও দু’টি সংস্থায় দায়িত্বশীল পদে কাজ করেছেন। তিনটি সংস্থাই বহুজাতিক এবং ১০০ বছরের পুরনো। বিশ্বের প্রায় ১০০টি দেশে দফতর রয়েছে। প্রতি দিন দায়িত্ব বাড়ছে। সঙ্গে সুনাম।
কেন?
উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরে জন্ম। কলেজজীবন পর্যন্ত কেটেছে সেই মফস্সল শহরে। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী মায়ের কর্মসূত্রে পাওয়া মায়ের আবাসনে বেড়ে ওঠা। কলেজ-শেষে নব্বইয়ের দশকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা। অতঃপর ওড়িশায় ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়তে যাওয়া। সেই প্রথম ব্যারাকপুরের বাইরে। বাবা ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনায় কর্মরত। মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠায় জীবনের মূল্যবোধ তৈরি হয়েছিল বলে মনে করেন বাংলা মাধ্যমের ছাত্র। ম্যানেজমেন্ট পড়া শেষে ‘প্রাইস ওয়াটার হাউস’-এ চাকরি। পরে শতবর্ষ পেরনো সেই সংস্থাই কুপার্সের সঙ্গে মিশে যায়। সেই অডিট ফার্মে প্রোগ্রামার হিসাবে যোগদান। কাজ করতে করতে প্রায় সব পদের দায়িত্বই সামলেছেন। ২০০২ সালে ‘প্রাইস ওয়াটার হাউস কুপার্স’-এর কনসাল্টিং অংশ কিনে নেয় আইবিএম। সেই সূত্রেই আইবিএমে। তার পরে এরিকসনে যোগ।
আর কী?
আপাতত এরিকসনের দায়িত্ব সামলাতেই সময় চলে যায়। কিন্তু একটা ‘প্যাশন’ রয়েছে। যাঁরা আগামী দিনে এই পেশায় এবং এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসবেন, তাঁরা কী ভাবে নিজেদের তৈরি করবেন? তাঁদের কী কী করতে হবে বা করতে হবে না? সেই সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রবল ইচ্ছে। পছন্দের গায়ক মান্না দে।
এর পর?
বিশ্ব দ্রুত বদলাচ্ছে। নিজেকে প্রাসঙ্গিক রাখা জরুরি। তরুণ পেশাদারদের ক্ষেত্রে সেটাই চ্যালেঞ্জ। পাঁচ কাজের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের পাশে দাঁড়ানোটা ঠিক করে হয়ে ওঠে না। এর পর সেই কাজটাই এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। নিজের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান ভবিষ্যতে।