সলমন খান।
প্রযোজক হিসেবে সলমন খান যে ভাবে নতুন প্রতিভাদের লঞ্চ করছেন, তাতে ইন্ডাস্ট্রির তরফে বাহবা প্রাপ্য অভিনেতার। বিষয়টা নতুন নয়। স্নেহা উল্লাল, জ়ারিন খান, ডেইজ়ি শাহ, সূরজ পঞ্চোলি, সোনাক্ষী সিংহ, আথিয়া শেট্টি, আয়ুষ শর্মা... সলমনের লঞ্চের তালিকা বেশ দীর্ঘ। সেই তালিকাতেই নতুন নাম যোগ হয়েছে প্রানূতন এবং জ়াহির ইকবাল। সলমনের প্রযোজনায় ‘নোটবুক’ ছবিতে অভিনয় করছেন দু’জন। ‘নোটবুক’ বললেই হলিউডের সেই কাল্ট রোম্যান্টিক ছবির কথা ভাবেন অনেকে। কিন্তু সলমন জানালেন, তাঁর ছবিটি ‘টিচার্স ডায়েরি’ নামের তাইল্যান্ডের একটি ছবি থেকে অনুপ্রাণিত। বললেন, “এটা হিন্দি ছবি। সেটা মাথায় রেখেই চিত্রনাট্য লিখেছি আমরা। ছবির শুটিং
করেছি কাশ্মীরে।”
ছবিটি করার ক্ষেত্রে সলমনের মাথায় একটাই বিষয় ছিল। ফ্রেশ জুটি নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রানূতন হলেন অভিনেতা মণীশ বহেলের মেয়ে। জ়াহির আবার সলমনের ছোটবেলার বন্ধুর ছেলে। দুই নবাগতকে নিয়ে অভিনেতা বলছিলেন, ‘‘দু’জনেই খুব পরিশ্রমী। অভিনয় ভাল করার জন্য অনেক কাজ করেছে। প্রানূতনের অডিশন আমি আগেও এক বার দেখেছিলাম। সে বার খুব ইমপ্রেসড হয়েছিলাম। তার পরে শুনলাম, আইন নিয়ে পড়াশোনা করছে ও। সঙ্গে অভিনেত্রীও হতে চায়। তখন মণীশকে কল করে বলেছিলাম, ‘তোমার মেয়ে এত ট্যালেন্টেড। ল নিয়ে পড়াশোনা করেছে... আর এখন অভিনেত্রী হতে চাইছে? উকিলের দরকার হলে আমি কোথায় যাব?” স্বভাবগত ঠাট্টার অভ্যেসটা ফের প্রকাশ পেল, যখন অভিনেতাকে প্রশ্ন করা হল, জীবনে কোনও দিন ডায়েরি লিখেছেন কি না? “অনেক আগে লিখতাম। আর আমার ডায়েরিতে অন্যদের সম্পর্কেও সত্যি কথাগুলোই লেখা থাকত। তাই আমি তো ফাঁসতামই! আমার সঙ্গে অন্যরাও ফেঁসে যেত। তাই লেখা বন্ধ করে দিয়েছি!”
নতুনদের কী উপদেশ দেন সলমন? অভিনেতার উত্তর, “স্টে আউট অব ট্রাবল। অনেক সময়ে বিপদ কী ভাবে আসে, সেটা বোঝাও যায় না। সব সময়ে সতর্ক থাকা উচিত।” নিজের জীবন থেকেই যে এই শিক্ষা পেয়েছেন, সেটাও স্পষ্ট করলেন এই উত্তরের মাধ্যমে। ইদানীং অভিনয়, না কি প্রযোজনা— কোনটা অনায়াসে করতে পারছেন তিনি? “দুটোই খুব পছন্দের কাজ। কিন্তু বেশি কঠিন ছবির প্রযোজনা। চিত্রনাট্য লেখা থেকে, মিউজ়িক তৈরি করা, কাস্টিং সব কিছু ঠিক ভাবে হচ্ছে কি না, সেটা দেখার দায়িত্ব বেশ কঠিন। ভাল গান বানানো কিন্তু আমার কাছে খুব জরুরি। এমন গান যার রিকল ভ্যালু থাকে,” ব্যাখ্যা অভিনেতার। সঙ্গে জানালেন, কেরিয়ার শুরু করতে চেয়েছিলেন পরিচালনা দিয়েই। ঘাড় নেড়ে বললেন, ‘‘ভাগ্যিস করিনি! ভাল ছবির ফর্মুলা জানা কিন্তু খুব মুশকিল! আর যখনই বলব, আমি জানি কী ভাবে ভাল ছবি হয়, ছবি ফ্লপ হলে তখন আপনারাই আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখবেন, সব জেনেও আমার ছবির এই হাল হল!’’
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কী দেখে নতুন কাউকে লঞ্চ করেন সলমন? ‘‘কাউকে এক বার দেখে যদি মনে হয়, তাকে আর এক বার দেখা যায় আর তার পরে অনুভব করি যে তার মধ্যে একটা স্পার্ক আছে, তা হলেই তাকে বেছে নিই।’’ নিজের কথায় ফিরে গেলেন তিনি, ‘‘আমার তো নিজেকে নোটিস করাতেই অনেকটা সময় লেগে গেল! আর তার পরে আমি মডেলিং আরম্ভ করি। অনেকেই আমাকে জিজ্ঞেস করেন, আমার জীবনের সেরা শিক্ষক কে? আমি তো বলব, আমার মা-বাবার কাছ থেকে জন্মসূত্রে অনেক কিছু পেয়েছি। আর আমার স্কুল-কলেজের টিচাররা যাঁরা আমাকে মারতেন আর ভালবাসতেন খুব, তাঁরাও অনেক শিখিয়েছেন।’’ নিজের বায়োপিক করবেন নাকি? ‘‘বাপ রে বাপ! আমার বায়োপিক কে দেখবে?” মন্তব্য অভিনেতার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy