কী ভাবে মারা গেলেন জেমস কান?
দীর্ঘ ৬০ বছরের কর্মজীবনে অজস্র প্রশংসিত ছবি। অজস্র পুরস্কার, সম্মান, ভালবাসা প্রাপ্তি। দিন দিব্যি কাটছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎই চলে গেলেন মার্কিন অভিনেতা জেমস কান। গত ৬ জুলাই, ৮২ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন ‘গড ফাদার’-অভিনেতা।
কানের মৃত্যু এতটাই আকস্মিক যে, কার্যকারণ বোঝার চেষ্টা করছিলেন চিকিৎসকরাও। জানা যায়, বয়স হলেও তিনি সক্ষম ছিলেন। কাজও করতেন নিয়মিত। মৃত্যুর আগের দিন অবধি জেমসের শরীর নিয়ে আশঙ্কার তেমন কারণ ছিল না বলেই মনে করছেন পরিবারের মানুষ।
যদিও পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল, হৃদ্যন্ত্র দুর্বল হয়ে পড়েছিল বর্ষীয়ান অভিনেতার। আরও বিশদে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় চেয়েছিলেন চিকিৎসকরা। অবশেষে মৃত্যুর প্রায় ৩ সপ্তাহ পর অভিনেতার স্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ্যে এল। সেখানে বলা হয়েছে, হৃদ্যন্ত্র এবং ফুসফুস, দুই-ই একসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছিল জেমসের।
শ্লেষ্মায় ভরে গিয়েছিল অশীতিপর ফুসফুস। হৃদ্যন্ত্রের প্রকোষ্ঠে, শিরা-ধমনীর অন্দরে মেদের পাঁচিল উঠেছিল। তাতেই হঠাৎ স্পন্দন থেমে গিয়েছিল অভিনেতার। লস এঞ্জেলেসের রোনাল্ড রেগান ইউসিএলএ মেডিক্যাল সেন্টারে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন জেমস।
সেই খবর ছড়িয়ে পড়তে শোকের ছায়া নেমেছে হলিউডে চলচ্চিত্র পাড়ায়। টেলিভিশন জগতেও দীর্ঘ অবদান রেখেছিলেন জেমস। সেখানেও হাহাকার। ‘লাস ভেগাস’ ছবির ‘এড ডেলাইন’ চরিত্রে জেমসকে যে ভোলার নয়! ২০০৫ সাল থেকে শুরু হয়ে এনবিসি-তে তিন বছর ধরে চলেছিল সেই ধারাবাহিক।
বর্ণাঢ্য এবং দীর্ঘ কর্মজীবনের পাশাপাশি, অভিনেতা সমালোচকদের দ্বারাও প্রশংসিত হয়েছিলেন জেমস। ঝুলিতে পর পর এসেছে গোল্ডেন গ্লোব এবং অস্কার। জিতে নিয়েছিলেন আরও অজস্র সম্মান। তবে শরীরের অন্দরে বাসা বাঁধা রোগের কথা আগে বুঝতে পারেননি অভিনেতা। যে পৃথিবীকে ‘এল ডোরাডো’ ভেবে নিরন্তর কাজ করে গিয়েছেন জেমস, সেই মঞ্চ থেকে তাঁকে বিদায় নিতে হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy