চিত্রকর ইলিনা বণিক।
ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গিয়ে নিগৃহীত হয়েছেন বলে গড়িয়াহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন চিত্রকর ইলিনা বণিক। ইলিনার বক্তব্য, ক্যান্সারে আক্রান্ত মায়ের চিকিৎসার জন্য টাকা তুলতে শনিবার তিনি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের রাসবিহারী শাখায় গিয়েছিলেন । সেখানে লিঙ্ক কাজ না করায় আসেন ওই ব্যাঙ্কেরই গড়িয়াহাট শাখায়। সে সময়ই এক ব্যাঙ্ককর্মী তাঁকে শারীরিক ভাবে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে চিত্রকরের অভিযোগ, তাঁর মা এবং তাঁর নামে যৌথ অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও নানা অজুহাত দেখিয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করেন ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাট শাখার ক্যাশিয়ার। ইলিনার কথায়, ‘‘আমাকে প্রকাশ্যে শারীরিক নিগ্রহও করা হয়েছে।’’
আনন্দবাজার অনলাইন সোমবার যোগাযোগ করেছিল গড়িয়াহাট থানার ওসি সলিল কর এবং ঘটনার সময়ে দায়িত্বে থাকা ডিউটি অফিসার মহম্মদ ইকবালের সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট দুই পুলিশ আধিকারিক অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। গড়িয়াহাট থানা সূত্রের খবর, ইলিনার অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ডিউটি অফিসার ওই ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাট শাখায় গিয়েছিলেন। ব্যাঙ্কের তরফ থেকে পাল্টা অভিযোগে বলা হয়েছে, ইলিনা নাকি মোবাইলে ভিডিয়ো করার চেষ্টা করছিলেন। তাঁকে নিরস্ত করতে গিয়েই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই।
ইলিনা সোমবার বলেন, ‘‘মায়ের চিকিৎসার জন্য বাড়িতে সব সময়েই টাকা মজুত রাখতে হয়। সেই উদ্দেশ্যেই শনিবার ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের রাসবিহারী শাখায় গিয়েছিলাম। আমার মা এবং বাবা ওই ব্যাঙ্কেরই কর্মী ছিলেন। রাসবিহারী শাখায় লিঙ্ক ফেল করায় যাই গড়িয়াহাট শাখায়। সেখানে আমায় টাকা দিতে অস্বীকার করা হয়।’’ অভিযোগ, অ্যাকাউন্টে ইলিনা এবং তাঁর মায়ের যুগ্ম নাম থাকা সত্ত্বেও চিত্রকরকে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ বলে দাবি করেন দায়িত্বে থাকা ব্যাঙ্ককর্মী। ইলিনার দাবি, এর পরে তিনি ফোনে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে যান। তখনই নাকি অভিযুক্ত ব্যাঙ্ককর্মী কাউন্টারের ওপার থেকে প্রায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। ইলিনার মোবাইল ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলেও অভিযোগ।
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের গড়িয়াহাটা শাখার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য— পুলিশ-প্রশাসনকে যা জানানোর জানানো হয়েছে। এর বাইরে আর কোনও বক্তব্য নেই ব্যাঙ্কের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy