স্মৃতির সঙ্গে একতার টুইট করা ছবি
বলিউডে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রভাব কতখানি বলিষ্ঠ, সেটা মুম্বই সেলেবদের সদলবল দিল্লি গিয়ে প্রাইম মিনিস্টারের সঙ্গে সেলফি তোলায় মাস কয়েক আগেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছিল। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে মোদী দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় যে মুম্বই সেলেবদের মধ্যেও একটা আলোড়ন পড়ে যাবে, সেটা অনুমানযোগ্য ছিল। তবে সেই আলোড়নের ভিড়েও কিছু সমীকরণ বেশ চাঞ্চল্যকর।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যরা বিজেপি ব্যান্ডওয়াগনে যোগ দেওয়ার কয়েক বছর আগে থেকে দলের এক রকম সেলেব মুখপাত্রই বলা হতো অক্ষয়কুমারকে। একটু রাত হলেও মোদীকে শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি তিনি। মোদীর বায়োপিকের স্ক্রিনিংয়েও উপস্থিত ছিলেন।
বাকি কিছু ব্যক্তিত্ব, যাঁরা নির্বাচনের প্রচারে কোনও ভাবেই শামিল হননি, শুভেচ্ছাবার্তা এসেছে তাঁদের কাছ থেকেও। যেমন আশা ভোঁসলে। কিংবদন্তি এই শিল্পীও বিজেপি স্তুতিতে রত।
কঙ্গনা রানাউত বরাবরই নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের সব রাজনৈতিক সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে এসেছেন। বৃহস্পতিবার ‘পিএম নরেন্দ্র মোদী’র স্ক্রিনিংয়ে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘গণতন্ত্রের সর্বাধিক যোগ্য প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী।’’ তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতার হট সিটে ফিরে আসায় কঙ্গনা খুশি। কঙ্গনার বোন রঙ্গোলিও টুইট করেছেন তাঁর শুভেচ্ছাবার্তা। খুশি হয়েছেন সলমন খানও। টুইটারে তিনি অভিনন্দন জানিয়েছেন মোদীকে। বাদ যাননি বরুণ ধওয়ন, অভিষেক বচ্চন, পরিণীতি চোপড়ারাও।
শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের গুড বুকে নাম তুলতে উৎসাহী আরও অনেকেই। বুধবার পর্যন্তও একতা কপূর নির্বাচন নিয়ে তেমন কোনও পোস্ট দেননি। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় ফের প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পরে তিনিও অভিনন্দন জানাতে দেরি করেননি। বাবা জিতেন্দ্রর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি আপলোড করে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন। অমেঠিতে স্মৃতি ইরানির লিডিং পোজ়িশনে থাকার ছবি টিভি থেকে নিয়েও পোস্ট করেছেন তিনি।
শুধু তাই নয়, স্মৃতির সঙ্গে নিজের ছবিও টুইট করেছেন একতা। তার ক্যাপশনে আবার ‘কিঁউ কি সাঁস ভি কভি বহু থি’র টাইটেল ট্র্যাকের লাইন ব্যবহার করা— ‘রিস্তোঁ কে ভি রূপ বদলতে হ্যায়...’ ঘটনাচক্রে, মনে করা যেতে পারে, এক সময়ে দু’জনের বন্ধুত্বে ফাটল ধরেছিল। মতানৈক্যের জেরে স্মৃতি ওই ধারাবাহিক ছেড়েও দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য বিবাদ মিটে যায়।
স্মৃতি অমেঠিতে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ানোর পর থেকে একতা ক্রমাগত সমর্থন জানিয়ে গিয়েছেন তাঁর ‘সোল সিস্টার’কে। গুরদাসপুর থেকে বিজেপির জয়ী প্রার্থী সানি দেওল এবং মথুরার প্রার্থী হেমা মালিনীকেও কনগ্র্যাচুলেট করেছেন একতা কপূর।
রং বদলানোর ইঙ্গিতও রয়েছে নির্বাচনের ফলাফলের আবহে। অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দলের সদস্য গুল পনাগ বৃহস্পতিবার থেকে সুর নরম করেছেন। বিজেপিকে শুভেচ্ছাবার্তাও পাঠিয়েছেন তিনি। টুইটার ব্যবহারকারীরা তার পর থেকেই জল্পনা শুরু করে দিয়েছেন, গুল এ বার রাজনৈতিক রং বদলাবেন।
রাজনীতি কি এ ভাবেই ক্ষমতার কুম্ভীপাকে বদলে দেয় মানুষের নীতিকে, নীতিগত চেতনাকে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy