বুকে এই ব্যাজ নিয়েই ভোট দিতে বুথে ঢুকেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
বুকে তৃণমূলের প্রতীক লাগিয়ে ভোট দিতে বুথে ঢুকলেন অনুব্রত মণ্ডল। ভোটগ্রহণের সময় দলীয় প্রতীক নিয়ে বুথে ঢোকা যে বারণ, তা কি জানেন না তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি? প্রিসাইডিং অফিসারই বা কী করছিলেন? বাধা দিলেন না কেন? অনুব্রত সরাসরি অস্বীকার করলেন প্রতীক নিয়ে বুথে ঢোকার কথা। বললেন, ‘‘তখন খুলে দিয়েছিলাম।’’ আর প্রিসাইডিং অফিসার বললেন, এমন পরিস্থিতিতে কী করা উচিত, তাঁর জানা নেই।
নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়া থেকেই গোটা বাংলায় তৃণমূলের সব বড় নেতা এবং প্রার্থী বুকে প্লাস্টিকের জোড়াফুল প্রতীক লাগিয়ে ঘুরছেন। অনুব্রত মণ্ডলও ব্যতিক্রম নন। সেই প্রতীকের গেরোতেই রবিবার বিধিভঙ্গ হয়ে গেল। দুধ-সাদা পাঞ্জাবির বুকে জোড়াফুল প্রতীক লাগিয়ে অনুব্রত ভোট দিতে ঢুকেছিলেন বুথে। ভোট দেওয়ার পর কয়েক মিনিট নিজের বুথের অবস্থা ভালভাবে পর্যবেক্ষণও করেন তিনি। বুকে জোড়াফুল লাগিয়ে বুথের ভিতরে অনুব্রতর এই অবাধ গতিবিধি দেখেও প্রিসাইডিং অফিসার কোনও আপত্তি করেননি। তা নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে বিতর্ক।
অনুব্রত মণ্ডল অবশ্য সব বিতর্ক নস্যাৎ করে দিচ্ছেন। তাঁর বাড়িতে তৃণমূলের যে ভোট কন্ট্রোল রুম তৈরি হয়েছে, সেখানে বসে অনুব্রত মণ্ডল বললেন, ‘‘বুকে প্রতীক লাগিয়ে বুথে ঢুকিনি। বুথে ঢোকার আগে খুলে দিয়েছিলাম।’’ কিন্তু ক্যামেরায় তো ধরা পড়ে গিয়েছে যে আপনি প্রতীক নিয়েই বুথে ঢুকেছিলেন। অনুব্রত আবার সপাটে ছক্কা মারলেন। বললেন, ‘‘পুরনো ছবি দেখানো হচ্ছে। ওটা আজকের ছবি নয়।’’
প্রিসাইডিং অফিসার কিন্তু অস্বীকার করছেন না ঘটনাটি। তিনি মেনে নিলেন যে অনুব্রত মণ্ডল বুকে তৃণমূলের প্রতীক লাগিয়েই বুথে ঢুকেছিলেন। তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হল না কেন? এতে তো বিধিভঙ্গ হল। প্রিসাইডিং অফিসারের জবাব, ‘‘বিধিভঙ্গ হয়েছে কি না ঠিক জানা নেই আমার।’’
উল্লেখযোগ্য ভাবে, অনুব্রত মণ্ডলের বুথে তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলের পোলিং এজেন্টও নেই। প্রিসাইডিং অফিসার নিজেই জানালেন সে কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy