মুড়ি আর ঘুঘনি বিলি হচ্ছে ময়ূরেশ্বরে। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটের কয়েক দিন আগে থেকেই গুড়বাতাসার জিগির তুলতে শুরু করেছিলেন ‘কেষ্টদা’। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ভোট, তাই গুড়বাতাসা আর জল সবার জন্য রাখা হবে। কিন্তু ভোটের সকালে বীরভূমের ‘কেষ্টদা’ বুঝিয়ে দিলেন, তাঁর মেনু কার্ড অতটা একঘেয়ে নয়। সব বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় সব বুথে ভোটারদের জন্য প্রাতরাশের ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল। এক একটি বিধানসভা কেন্দ্রে এক এক রকম মেনু।
মুরারইতে মুড়ি আর গুড়বাতাসারই আয়োজন হয়েছে। কিন্তু ময়ূরেশ্বরে ব্রেকফাস্ট আরও জমজমাট। ভোট দিয়ে বুথ থেকে বেরোতেই ভোটারের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে শালপাতার ঠোঙা। তাতে মুড়ি। পাশেই বড় লোহার কড়াইতে ফুটছে ঘুগনি। বড় লোহার হাতায় করে ফুটন্ত কড়াই থেকে তুলে আনা সেই ঘুগনি ঢেলে দেওয়া হচ্ছে মুড়ির উপর। প্রাতরাশ সেরে বাড়ি ফিরছেন ভোটার। ময়ূরেশ্বরের সব বুথেই এই ছবি। দুপুরে অবশ্য মুড়ি-ঘুগনি নয়। ভাতের ব্যবস্থা হচ্ছে সকলের জন্য। লাভপুরের মেনু আবার আলাদা। সেখানেও সব বুথে ভোটরাদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল। ব্রেকফাস্ট মেনুতে রয়েছে মুড়ি-বাতাসা, চপ এবং রসগোল্লা বা অন্য কোনও মিষ্টি।
দেখুন ভিডিও:
গোটা বীরভূমের ১১টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূল এই খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছিই তৃণমূলের এই সব রসুইঘর তৈরি হয়েছে। এক একটি বিধানসভা কমিটি এক এক রকমের মেনু স্থির করেছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে বীরভূমের প্রায় সমস্ত বুথে তৃণমূল কী ভাবে অবাধে ভোটারদের খাওয়ানোর আয়োজন করতে পারে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy