ব্যাঙ্কের এটিএম খোলায় এ বার বিদেশি সংস্থাকে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই ধরনের এটিএম খোলার ব্যবসায় সরাসরি ১০০% বিদেশি লগ্নির অনুমতি দিয়েছে। নিজেরা ব্যাঙ্ক না-হলেও এটিএম চালাতে পারবে তারা।
প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনা-র মাধ্যমে সকলের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুললেও লেনদেনে বাধা প্রত্যন্ত এলাকায় এটিএমের অভাব। টাটা ইন্ডিক্যাশ, মুথুট ফিনান্সের মতো বেশ কিছু সংস্থাকে এ জন্য ব্যাঙ্ক না-হলেও এটিএম চালানোর ব্যবসার অনুমতি দিয়েছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এই এটিএম-গুলি যেহেতু কোনও নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের নয়, তাই এদের বলা হয় হোয়াইট লেবেল এটিএম। এ বার সেই ব্যবসাতেই একশো ভাগ প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির অনুমতি দেওয়া হল। কেন্দ্রের ধারণা, এতে প্রত্যন্ত এলাকাতেও এটিএম পরিষেবা পৌঁছবে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, বিদেশি লগ্নির পথ খুললেই সেই লক্ষ্য পূরণ হবে কি না? কারণ এমনিতেই সারা দিনে যথেষ্ট লেনদেন না-হলে শুধু এটিএম চালানোর ব্যবসায় লাভের মুখ দেখা কঠিন। যেখানে সাধারণ ব্যাঙ্ক বা পেমেন্টস ব্যাঙ্কগুলি গ্রামে গ্রামে পৌঁছচ্ছে, সেখানে শুধু এটিএম চালানোর ব্যবসায় বিদেশি সংস্থাগুলি আগ্রহী হবে কি না, প্রশ্ন সেটাই। প্রতিযোগিতাই প্রত্যন্ত প্রান্তে ব্যাঙ্কগুলিকে ঠেলে পাঠিয়েছে। এক দিকে বন্ধনের মতো নতুন ব্যাঙ্ক খুলেছে। তারাও গ্রামে গ্রামে নিজের প্রতিনিধি পাঠিয়ে পরিষেবা পৌঁছে দিতে চাইছে। পেমেন্টস ব্যাঙ্ক তৈরি হলে তারাও গ্রামে পৌঁছে যাবে। এদের সঙ্গে পাল্লা দিতে তাই এসবিআইয়ের মতো বড় ব্যাঙ্কও প্রত্যন্ত প্রান্তের মানুষের দরজায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে কম খরচের ব্যবসা-কৌশল তৈরি করছে। বিজনেস করেসপন্ডেন্ট নিয়োগ করছে। হাতিয়ার করা হচ্ছে প্রযুক্তিকেই। যেখানে ব্যাঙ্কের শাখা নেই, সেখানে পরিষেবা কেন্দ্র খোলা হচ্ছে। এই অবস্থায় বিদেশি লগ্নি কতটা টানা যাবে, তা সময়ই বলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy