US Tariff Row

‘প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা না করলে পুরস্কার পাবেন’, শুল্ক নিয়ে চিনের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প-বার্তা

চিনা পণ্যে ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। তার জবাবে মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে মোট ৮৪ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১১:০১
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

শুল্কযুদ্ধে চিনের অনমনীয় অবস্থান এবং তার পরিণতির উদাহরণ তুলে বিশ্বকে বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্য দেশগুলিকে হুঁশিয়ারির পাশাপাশি দিয়ে রাখলেন ভবিষ্যতে শুল্ক ছাড় নিয়ে সমঝোতার বার্তাও। হোয়াইট হাউসের তরফে বুধবার প্রকাশিত ট্রাম্পের বার্তায় বলা হয়েছে, ‘‘প্রতিশোধ নেওয়ার পথে হাঁটবেন না, তা হলে আপনাকে পুরস্কৃত করা হবে।’’

Advertisement

বাকি দেশগুলিকে ৯০ দিনের জন্য ছাড় দিলেও ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে চিনের ক্ষেত্রে কোনও রেয়াত করেননি ট্রাম্প। বরং চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি করেছেন তিনি। চিনা পণ্যে ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে আমেরিকা। আর তার জবাবে বুধবারই মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে মোট ৮৪ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। এর আগে মার্কিন পণ্যে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেজিং।

ট্রাম্পের ঘোষণার পরে বেজিং এক ধাক্কায় ৫০ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছে মার্কিন পণ্যে। যদিও এর পাশাপাশি, জিনপিং সরকার ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নিয়ে সমঝোতার রাস্তা খোলা রাখার কথা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার থেকে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সরকারের নতুন শুল্কহার কার্যকর করার কথা। এই পরিস্থিতিতে অন্য দেশগুলির উদ্দেশে ট্রাম্পের এই বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। বণিকমহলের একাংশের ধারণা, ট্রাম্পের মূল ‘নজর’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলির দিকে। কারণ, তারা ইতিমধ্যেই সয়াবিন, গাড়ি-সহ বেশ কিছু মার্কিন পণ্যে বাড়তি শুল্ক চাপানোর প্রস্তুতি শুরু করেছে।

Advertisement
আরও পড়ুন