US Tariffs on China

১২৫% নয়, ১৪৫% শুল্ক চাপানো হয়েছে চিনা পণ্যে! ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাখ্যা দিল হোয়াইট হাউস

চিনা পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করার কথা ঘোষণা করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে হোয়াইট হাউসের দাবি, চিনা পণ্যে মোট শুল্ক ১২৫ শতাংশ নয়, ১৪৫ শতাংশ। কেন, সেই ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ২১:২৪
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৪ ঘণ্টা আগেই চিনা পণ্যের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করেছেন। চিনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তবে বৃহস্পতিবার রাতে (ভারতীয় সময় অনুসারে) জানা যায়, আমেরিকার বাজারে চিনা পণ্যের উপর মোট শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ১২৫ শতাংশ নয়, ১৪৫ শতাংশ হয়েছে। হোয়াইট হাউসের আধিকারিক সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘সিএনবিসি’।

Advertisement

১২৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি পেয়ে কেন ১৪৫ শতাংশ হল, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের ওই আধিকারিক। ওই আধিকারিকের ব্যাখ্যায়, ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় চিনা পণ্যের উপর শুল্ক ৮৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১২৫ শতাংশ করা হয়েছে। তবে নিষিদ্ধ ওষুধ ফেন্টানাইল সংক্রান্ত বিতর্কে চিনের উপর আরও ২০ শতাংশ শুল্ক আগে থেকেই ধার্য্য রয়েছে। ওই ২০ শতাংশ শুল্কের সঙ্গে বর্ধিত ১২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। ফলে চিনা পণ্যে মোট শুল্কের পরিমাণ হবে ১৪৫ শতাংশ।

ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানির দিকে। দু’দেশের শুল্ক সংঘাতের আবহে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকেই চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। এই শুল্ক ঘোষণা হয়েছিল কানাডা, মেক্সিকো এবং চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে। এই তিন দেশের উপর শুল্ক চাপানোর অন্যতম কারণ ছিল ফেন্টানাইল-বিতর্ক। ট্রাম্পের অভিযোগ ছিল, আমেরিকায় ফেন্টানাইল পাচার রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে না এই দেশগুলি।

পরে আরও অন্য দেশের উপর শুল্ক চাপান ট্রাম্প। তালিকায় ভারত, ইজ়রায়েলের মতো আমেরিকার ‘মিত্র রাষ্ট্র’ও ছিল। ওই সময়ে চিনা পণ্যের উপরেও ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপান ট্রাম্প। চিন পাল্টা শুল্ক চাপালে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন এবং মোট শুল্কের পরিমাণ হয় ৮৪ শতাংশ। তার সঙ্গে পূর্বের ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত করলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে। হোয়াইট হাউসের ওই আধিকারিকের দাবি, ট্রাম্প বুধবার যে বর্ধিত শুল্কের কথা ঘোষণা করেছেন, তা ৮৪ শতাংশের উপর বৃদ্ধি পেয়ে ১২৫ শতাংশ। ফেন্টানাইল সংক্রান্ত শুল্ক তাতে যুক্ত ছিল না।

Advertisement
আরও পড়ুন