সারিবদ্ধ ভাবে হেঁটে চলেছেন অবৈধবাসীরা। ছবি: হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত ভিডিয়ো থেকে।
আবার অবৈধবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানোর একটি ভিডিয়ো পোস্ট করল আমেরিকার হোয়াইট হাউস (আনন্দবাজার অনলাইন তার সত্যতা যাচাই করেনি)। সেই নিয়ে আবার তৈরি হল বিতর্ক। অবৈধবাসীদের ফেরত পাঠানোর ভিডিয়োর নেপথ্যে বাজছে পপ সঙ্গীত ‘না না হে হে (কিস হিম গুডবাই)’। সেই নিয়ে সমাজমাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন বহু জন। তাঁদের অভিযোগ, অসহায় অবৈধবাসীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সারিবদ্ধ ভাবে হেঁটে যাচ্ছেন অবৈধবাসীরা। পাশে নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন। অবৈধবাসীদের হাত পিছমোড়া করে রাখা। তবে বাঁধা নয়। হাত বেঁধে অবৈধবাসীদের বিমানে তোলার ভিডিয়ো প্রকাশ করে এর আগে সমালোচনার মুখে পড়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। মনে করা হচ্ছে, সে কারণে এই ভিডিয়োয় দেখতে পাওয়া অবৈধবাসীদের হাত খোলা। তাঁরা যখন হেঁটে চলছেন, তখন বাজছে ‘না না না না, না না না না, হে হে, গুডবাই’। ব্রিটেনের পপ ব্যান্ড বানানারামা গানটির জনক। ১৯৮৩ সালে এই গান প্রকাশিত হয়।
ভিডিয়ো দেখে সমাজমাধ্যমে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘এটা পৈশাচিক আচরণ। লজ্জা পাওয়া উচিত।’’ অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘এটা কোনও নীতি হতে পারে না। এটা রাষ্ট্রীয় অবমাননা। ফ্যাসিবাদ এ ভাবেই আচরণ করে, সে ভাবে তাকে কেউ থামাতে পারে না। আমরা তোমাকে দেখে নেব।’’
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আমেরিকার পথে নেমেছেন হাজার হাজার নাগরিক। শনিবার (স্থানীয় সময়) সকাল থেকে নিউ ইয়র্ক, কলোরাডো, হিউস্টন, লস অ্যাঞ্জেলেস, এমনকি খাস ওয়াশিংটনের রাস্তাতেও প্রতিবাদে সরব হন আমেরিকানদের একটা বড় অংশ। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে মিছিল করেন তাঁরা। আমেরিকার ৫০টি প্রদেশের অন্তত ১২০০টি এলাকায় শনিবার এই জমায়েত হয়েছে।
হোয়াইট হাউস যদিও হিসেব দিয়ে জানিয়েছিল, ট্রাম্পের তুলনায় বাইডেনের আমলে অনেক বেশি অবৈধবাসীকে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। হোয়াইট হাউসের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর প্রথম মাসে মোট ৩৭ হাজার ৬৬০ জন অবৈধবাসীকে আমেরিকা থেকে তাড়িয়েছেন। বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালীন শেষ বছরে গড়ে প্রতি মাসে ৫৭ হাজার অবৈধবাসীকে তাঁদের দেশে ফেরত পাঠিয়েছেন। ট্রাম্পের প্রথম মাসের তুলনায় প্রায় ২০ হাজার বেশি। যদিও তাতে আমেরিকার সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশের ক্ষোভ কমছে না।
এর আগে অবৈধবাসীদের দেশে ফেরত পাঠানো নিয়ে হোয়াইট হাউসের পোস্ট করা ভিডিয়োর নেপথ্যে সেমিসোনিক ব্যান্ডের ‘ক্লোজ়িং টাইম’ গানটি বাজানো হয়েছিল। সেই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল খোদ ওই ব্যান্ড। তার সদস্যেরা জানিয়েছিলেন, অনুমতি ছাড়াই গানটি ব্যবহার করেছে হোয়াইট হাউস। এমনকি, গানের অর্থও বুঝতে পারেনি তারা।