Deportation of Illegal Migrants

‘আমেরিকা ছাড়ুন, না হলে আটক করে রাখা হবে’! হোয়াইট হাউসের নিশানায় অবৈধবাসীরা, সুপ্রিম রায়ে খুশি ট্রাম্প প্রশাসন

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসেই আমেরিকায় বসবাসকারী অবৈধবাসীদের সংশ্লিষ্ট দেশগুলিতে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছেন। তিনি ঘোষণা করেন, আমেরিকায় কোনও অবৈধবাসীর ঠাঁই হবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:২১
White House again warns illegal migrants in US

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

অবৈধবাসীদের বিতাড়িত করার ব্যাপারে আমেরিকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর এ বার আরও কঠোর হচ্ছে হোয়াইট হাউস। প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট অবৈধবাসীদের উদ্দেশে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, হয় নিজে থেকে আমেরিকা ছাড়ুন, নয় তো আটক করা হবে!

Advertisement

দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরই সে দেশের অবৈধবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর বার্তা দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ঘোষণা করেন, আমেরিকায় কোনও অবৈধবাসীর ঠাঁই হবে না। ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে চলার বার্তাও দেন তিনি। তার পরই ট্রাম্প প্রশাসন উঠেপড়ে লাগে অবৈধবাসীদের চিহ্নিত করতে। তার পর তাঁদের একে একে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়াও শুরু করে তারা। ইতিমধ্যেই বহু অবৈধবাসীকে আমেরিকা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে। সেই আবহেই মঙ্গলবার সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্প প্রশাসনের হাতে ২২৭ বছর পুরনো আইনের ‘অস্ত্র’ তুলে দিয়েছে।

‘এলিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’, ১৭৯৮ সালে আইনটি তৈরি হয়। দেশের শত্রু বলে বিবেচিত বা ক্ষতি করতে পারে, এমন ব্যক্তিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে এই আইন বলবৎ করতে পারে মার্কিন প্রশাসন। অবৈধবাসীদের বিতাড়িত করতে ২২৭ বছর পুরনো আইনকে কাজে লাগাতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন। কিন্তু বাদ সাধে নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশ। ভেনেজ়ুয়েলার বাসিন্দা দস্যু প্রকৃতির কয়েক জন অবৈধবাসীকে এল সালভাদরে পাঠাতে চেয়েও ট্রাম্প তা পারেননি। বিষয়টি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে।

মঙ্গলবার আমেরিকার সুপ্রিম কোর্ট ওই আইন কাজে লাগানোর ব্যাপারে ছাড় দেয় ট্রাম্প প্রশাসনকে। তবে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, ওই আইনে কোনও অবৈধবাসীকে দেশছাড়া করার আগে তাঁর হাতে যথেষ্ট সময় দিয়ে নোটিস ধরাতে হবে। সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি নোটিসের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। এ বার তাঁর প্রশাসনের তরফে অবৈধবাসীদের সতর্ক করা হল। একই সঙ্গে নিজে থেকে আমেরিকা ছাড়ার পরামর্শও দেওয়া হল।

Advertisement
আরও পড়ুন