Nobel Prize 2024

জিনের সক্রিয়তায় মাইক্রো আরএনএ কী ভূমিকা নেয়? দিশা বাতলে চিকিৎসায় নোবেল দুই বিজ্ঞানীর

ক্রোমোজ়োমের মধ্যে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপাদান মাইক্রো আরএনএ ((রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড)-এর ‘হাতেই’ রয়েছে জিনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৪
Victor Ambros and Gary Ruvkun of US get Nobel Prize 2024 in Medicine for miRNA discovery

চিকিৎসা বিজ্ঞানে (মেডিসিন) নোবেলজয়ী দুই বিজ্ঞানী (বাঁ দিকে) ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন (ডান দিকে)। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

জীবকোষের মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং জিনের ট্রান্সক্রিপশন পরবর্তী পরিস্থিতিতে তার ভূমিকা নিয়ন্ত্রণের দিশা বাতলে ২০২৪ সালের চিকিৎসা বিজ্ঞানে (মেডিসিন) নোবেল পুরস্কার পেলেন দুই বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন।

Advertisement

সুইডেনের নোবেল অ্যাসেমব্লি অ্যাট ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট সোমবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বছরের নোবেল প্রাপক হিসাবে আমেরিকার দুই বিজ্ঞানীর নাম ঘোষণা করেছে। পোলিশ বংশোদ্ভূত জীব রসায়নবিদ ভিক্টর আমেরিকার নাগরিক। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রাক্তনী। জিন বিশেষজ্ঞ গ্যারি ম্যাসাচুসেটস হাসপাতালের জৈব অনুবিদ্যার গবেষক তথা বোস্টনের হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের জিনবিদ্যার অধ্যাপক।

ক্রোমোজ়োমের মধ্যে থাকা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র উপাদান মাইক্রো আরএনএ ((রাইবো নিউক্লিক অ্যাসিড)-এ এমআরএনএ নামেই জৈব রসায়নবিদ্যার জগতে পরিচিত। তারই হাতে জিনের ‘সক্রিয়তা’ এবং প্রতিলিপিকরণ পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি। ডায়াবিটিস থেকে ক্যানসার পর্যন্ত মানবশরীরের নানা ধরনের রোগের পিছনেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে জিনই দায়ী। এবং সেই জিনের কাজের নিয়ন্ত্রক হিসেবে জুড়ে রয়েছে এক বা একাধিক এমআরএনএ।

বস্তুত, নিজস্ব সঙ্কেত আদানপ্রদান পদ্ধতির মধ্য দিয়ে আমাদের শরীরের কোষ থেকে কোষে সঙ্কেত বয়ে নিয়ে যেতে পারে এমআরএনএ। কিন্তু এত দিন পর্যন্ত তার উপস্থিতির কথা জানা থাকলেও চরিত্র এবং গতিবিধি অজানা ছিল বিজ্ঞানীদের। ভিক্টর এবং গ্যারির ‘হাত ধরে’ জানা গেল, জিনের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে ‘মাইক্রো আরএনএ’ নামে এমন গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের প্রকৃত ভূমিকা। সি এলেগান্‌স নামে ক্ষুদ্র কীটের দেহে এম আরএনএর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে এই সাফল্য পেয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন
Advertisement