Crime News

১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে যান মা, না খেয়ে, জল না পেয়ে মৃত্যু! সাজা যাবজ্জীবন

বন্ধ ঘরে থাকার কারণে খাবার এবং জল না পেয়ে মৃত্যু হয় ১৬ মাসের মেয়েটির। ১০ দিন পর বাড়ি ফিরে এসে ওই মহিলা দেখেন, তাঁর মেয়ে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেঝেতে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৪
US woman who left 16 months baby home alone while on vacation gets life sentence

যাবজ্জীবন সাজা শোনাল আদালত। ছবি সংগৃহীত।

মেয়ের বয়স মাত্র ১৬ মাস। কিন্তু সে দিকে ভ্রুক্ষেপ না করেই তাকে একা বাড়িতে রেখে ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন মা! ১০ দিন বন্ধ ঘরে জল এবং খাবার ছাড়া থাকার কারণে মৃত্যু হয় শিশুটির। সম্প্রতি ওই ঘটনায় মৃত শিশুর মাকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। সোমবার সেই মামলায় ওই মহিলাকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শোনালেন বিচারক।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ়-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার বাসিন্দা ক্রিসটেল ক্যানডেলারিওকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ১৬ মাসের মেয়েকে বাড়িতে একা রেখে ছুটি কাটাতে ডেট্রয়েট এবং পুয়েরতো ঘুরতে গিয়েছিলেন। বাচ্চাটির জন্য কোনও ব্যবস্থা ছিল না। এমনকি, বাড়িতে খাবার এবং পানীয় জলও রেখে যাননি তিনি।

বন্ধ ঘরে থাকার কারণে খাবার এবং জল না পেয়ে মৃত্যু হয় ১৬ মাসের মেয়েটির। ১০ দিন পর বাড়ি ফিরে এসে ওই মহিলা দেখেন তাঁর মেয়ে জাইলিন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে মেঝেতে। তখন তিনি পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে জাইলিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তদন্তে নেমে পুলিশ ক্যানডেলারিওর ছুটি কাটানোর বিষয়টি জানতে পারে। তার পরই তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে গ্রেফতার করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বছর জুন মাসে। সোমবার সেই মামলায় রায়দানের সময় আমেরিকার এক আদালতের বিচারক ব্রেনডন শিহান ক্যানডেলারিওর উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনি যেমন আপনার ছোট্ট মেয়েকে তার বন্দিশালা থেকে মুক্তি দেননি, তেমনই আপনারও উচিত বাকি জীবন একটা সেলের মধ্যে কাটানো। তবে পার্থক্য একটাই, জেলে অন্তত আপনি খাবার এবং পানীয় পাবেন, কিন্তু জাইলিন তা পায়নি।’’

এই মামলার শুনানিতে ক্যানডেলারিও দাবি করেছেন যে, তিনি কয়েক দিন ধরেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘জাইলিনকে হারানোয় অনেক কষ্ট পেয়েছি। যা ঘটেছে সব কিছুর জন্য আমি অত্যন্ত আঘাত পেয়েছি। আমিই একমাত্র জানি, আমি কী অবস্থার মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলাম।’’ যদিও তাঁর কোনও কথাই বিচারকের মনে দাগ কাটতে পারেনি।

আরও পড়ুন
Advertisement