Joe Biden

নিজের বয়স নিয়ে রসিকতা বাইডেনের

সমাজমাধ্যমের জন্য তৈরি এই ভিডিয়ো বক্তৃতায় প্রথম থেকেই হালকা মেজাজে ছিলেন ৮১ বছর বয়সি প্রেসিডেন্ট। তাঁর বয়স এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যার জন্য মাঝেমধ্যেই সমালোচনা ও ব্যঙ্গের মুখে পড়তে হয় বাইডেনকে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ ০৮:২০
An image of Joe Biden

জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র।

রসিকতায় মজলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার রাতে ভোটপ্রচারের জন্য তাঁর দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত একটি ভিডিয়ো-বার্তায় বাইডেন বলেন, ‘‘আমি তরুণ, উদ্দীপনায় ছটফট করছি, দেখতেও বেশ ভাল!’’

Advertisement

সমাজমাধ্যমের জন্য তৈরি এই ভিডিয়ো বক্তৃতায় প্রথম থেকেই হালকা মেজাজে ছিলেন ৮১ বছর বয়সি প্রেসিডেন্ট। তাঁর বয়স এবং বার্ধক্যজনিত সমস্যার জন্য মাঝেমধ্যেই সমালোচনা ও ব্যঙ্গের মুখে পড়তে হয় বাইডেনকে। দলের বাইরে, এমনকি অন্দরেও। বাইডেন নিজেও যে বিষয়টি সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল, তা এ দিনের বক্তৃতায় স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘দেখুন, আমি যে আর তরুণ নই, সে কথা তো লুকিয়ে রাখার নয়।’’ তবে একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘এর (বেশি বয়স হওয়ার) অবশ্যই একটা সুফল আছে। আমেরিকার মানুষের জন্য কী কী করলে ভাল হয়, সে বিষয়ে আমার স্পষ্ট একটা ধারণা আছে।’’

এর পরে বাইডেন তাঁর প্রশাসনের ‘কৃতিত্বে’র একটি তালিকা দেন। তাতে রয়েছে, কোভিড-১৯-এর মোকাবিলা, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, ওষুধের দাম কমানো ইত্যাদি। বাইডেনের কথায়, ‘‘ইনসুলিনের পিছনে এক জন প্রবীণকে মাসে যাতে ৩৫ ডলারের বেশি খরচ করতে না-হয়, তা আইন করে নিশ্চিত করেছি আমরা। আরও অনেক ওষুধের দাম কমানো হয়েছে।’’

বক্তৃতায় সরাসরি ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন বাইডেন। বলেছেন, ‘‘উনি চার বছর ধরে পরিকাঠামোর উন্নয়নে নতুন আইন আনার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। আসলে ট্রাম্প মনে করেন, প্রেসিডেন্টের কাজ হচ্ছে প্রেসিডেন্টের দেখভাল করা। কিন্তু আমি মনে করি, আমার কাজ হচ্ছে আপনাদের, আমেরিকার সব মানুষের দেখভাল করা।’’

নতুন প্রজন্মকে কাছে টানার জন্য দু’টি বিষয় বেছে নিয়েছেন বাইডেন। প্রথম, জলবায়ু সমস্যা। বাইডেনের বার্তা, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে আমরা কঠোর আইন এনেছি। এর আগে জলবায়ু সমস্যায় এত বড় কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।’’

আর একটি বিষয়ের উপরেও জোর দিয়েছেন বাইডেন— গর্ভপাতের অধিকার। ট্রাম্প-মনোনীত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের রায়ে এখন আমেরিকায় গর্ভপাত প্রায় নিষিদ্ধ। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের দেখানো পথেই হাঁটছে রিপাবলিকান প্রদেশগুলি। অন্য দিকে, ডেমোক্র্যাট প্রদেশগুলি চেষ্টা চালাচ্ছে, গর্ভপাতের আইন শিথিল করতে। এ বিষয়ে বাইডেনের মন্তব্য, ‘‘ট্রাম্প মহিলাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।’’ সারা দেশে ফের গর্ভপাত আইন ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

বক্তৃতার শেষে শোনা যায়, বাইডেনকে ‘আর একটি ছবি তোলার’ জন্য অনুরোধ করছেন এক ক্যামোরাম্যান। প্রেসিডেন্ট তার উত্তরে বলেন, ‘‘আমি তরুণ, উদ্দীপনায় ছটফট করছি, দেখতেও বেশ ভাল। এটাই কী যথেষ্ট নয়!’’

আরও পড়ুন
Advertisement