Bangladesh-USA Visa

বাংলাদেশের জন্য ভিসা নীতি শুরু আমেরিকার

জানুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে ২০১৮-র ডিসেম্বরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দল বিএনপি এবং বেশ কয়েকটি বাম দল।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৭:০০
An image of Sheikh Hasina

—ফাইল চিত্র।

বাংলাদেশের জন্য আলাদা ভিসা নীতির কথা আগেই ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। ভারতীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় বাইডেন প্রশাসন বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল, সেই নীতি প্রণয়ন শুরু করা হয়েছে। এই নীতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের শাসক ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মী, পুলিশ বা সামরিক কর্মকর্তা এবং আমলাদের কারও বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ভোটে বাধা দেওয়ার অভিযোগ থাকলে তাদের ও তাদের পরিবারের লোকেদের আমেরিকার ভিসা দেওয়া হবে না। আমেরিকার বিদেশ দফতরের ওয়েবসাইটেও শুক্রবার এই নির্দেশিকা প্রকাশ
করা হয়েছে।

Advertisement

জানুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা। এর আগে ২০১৮-র ডিসেম্বরের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দল বিএনপি এবং বেশ কয়েকটি বাম দল। শেখ হাসিনার সরকারকে ‘অবৈধ সরকার’ বলে অসহযোগিতার কৌশলও নেয় তারা। সেই দলগুলিই এ বার ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইস্তফা দাবি করে ঘোষণা করেছে— এই সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশ নেবে না। সরকার অবশ্য দেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোর আশ্বাস দিয়েছে। এমন এক পরিস্থিতিতে স্বতঃপ্রবৃত্ত ভাবে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধ্বজা ওড়ানোর দায়িত্ব তুলে নেয় আমেরিকা। ২৭ মে তারা নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে। জানায় নির্বাচন পর্যন্ত একাধিক পর্যবেক্ষক দল ঢাকায় এসে নজরদারি চালাবে, যাতে বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। আমেরিকার রাষ্ট্রদূত যদিও দাবি করেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনে সাহায্য করতেই পর্যবেক্ষকরা আসছেন। কিন্তু হাসিনা প্রশাসন আমেরিকার এই তৎপরতাকে ‘অযাচিত হস্তক্ষেপ’ বলে মনে করছে, যা বন্ধ করতে বলার জন্য তারা দিল্লির কাছে আর্জি জানিয়েছিল।

আমেরিকার ২টি দল ইতিমধ্যেই ঢাকা ঘুরে বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব, নির্বাচন কমিশনার থেকে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। আরও একটি দল এ মাসেই আসছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বাজেট বরাদ্দ না থাকায় তারা বাংলাদেশে পর্যবেক্ষক পাঠাতে পারছে না।

Advertisement
আরও পড়ুন