Russia

Russia-Ukraine Conflict: ভেঙে যাওয়া সেই সোভিয়েত প্রজাতন্ত্র ফের গড়তে চায় রাশিয়া, অভিযোগ ইউক্রেনের

ডনবাস এখনও ইউক্রেন সেনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সেখানে রাশিয়ার মদতেপুষ্ট সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে বলে খবর।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কিয়েভ শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৩২
রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

তিন দশক আগে লুপ্ত হয়ে যাওয়া সোভিয়েত ইউনিয়ন পুনর্গঠনের গোপন পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। মঙ্গলবার এই অভিযোগ করলেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ। তিনি বলেন, ‘‘সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রকে ফের একত্র করার কাজ শুরু করেছে রাশিয়া।’’

আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করে প্রেসিডেন্ট পুতিন সোমবার রাতে ইউক্রনের দু’টি অঞ্চল দনেৎস্ক এবং লুহানস্ক (যাদের একত্রে ডনবাস বলা হয়)-কে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করেন। তাঁর এই পদক্ষেপের ফলে পশ্চিমী-সমর্থিত ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্ঘাত শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হয়েছে ইউক্রেন। সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন, “আমরা কাউকে ভয় পাই না। কোনও কিছুতেই ভয় পাই না। কারও কাছে বশ্যতা স্বীকার করব না, কারও হাতে কোনও কিছু তুলেও দেব না।” রেজনিকভ মঙ্গলবার ইউক্রেন সেনার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে ‘আগামী দিনে ত্যাগ এবং ক্ষয়ক্ষতির’ জন্য প্রস্তুত হওয়ার বার্তা দিয়েছেন।

Advertisement

পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস সামরিক অবস্থানগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। ওই এলাকা থেকে রুশ সেনার পক্ষে দ্রুত ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অভিযান চালানো সম্ভব বলে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো-র আশঙ্কা। রুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই দুই অঞ্চল এখনও ইউক্রেন সেনার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে সেখানে রাশিয়ার মদতেপুষ্ট সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলি সক্রিয়তা বাড়াচ্ছে বলে খবর।

সাবেক সোভিয়েতের আর এক প্রজাতন্ত্র বেলারুশে আগেই পৌঁছে গিয়েছে রুশ ফৌজ। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে যুদ্ধের মহড়াও শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে ইউক্রেন সেনা কতটা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। সম্ভাব্য রুশ আগ্রাসনের মোকাবিলায় পোল্যান্ড এবং জার্মানিতে বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে ন্যাটো। কিন্তু সামরিক দিক থেকে রাশিয়া সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বলে মত প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশের।

এরই মধ্যে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি মস্কোর বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার তোড়জোড় শুরু করেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনে সে দেশের শিল্প-বাণিজ্যমহলের উদ্দেশে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কিছু বিধিনিষেধ বলবতের নির্দেশিকা জারি করেছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement