Russia-Ukraine Conflict

‘দেশ শক্তিশালী, তবে প্রতিক্রিয়ায় দুর্বল’! রুশ হামলার পরে মার্কিন দূতাবাসের মন্তব্যে হতাশ ইউক্রেন

মধ্য ইউক্রেনের শহর ক্রিভি রিগে রুশ হানায় অন্তত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। ওই হামলার পরে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিক্রিয়ায় ‘হতাশ’ জ়েলেনস্কি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ২১:৩৭
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স।

রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা করেছে আমেরিকা। তবে সমাধান এখনও হয়নি। শুক্রবারও ইউক্রেনের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, রুশ হানায় ৯ শিশু-সহ ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি। তবে ওই হামলার পরে ইউক্রেনের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের প্রতিক্রিয়া ‘হতাশাজনক’ বলেই মনে করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি।

Advertisement

মধ্য ইউক্রেনের শহর ক্রিভি রিগ শহরে রুশ হামলার পরে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন সে দেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট ব্রিঙ্ক। তিনি লেখেন, “ক্রিভি রিগে একটি খেলার মাঠ এবং রেস্তরাঁর কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আমি শঙ্কিত। এই হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত এবং ১৬ জন নিহত হয়েছেন। মৃতদের মধ্যে ৬ শিশুও রয়েছে। এই জন্যই যুদ্ধ বন্ধ হওয়া উচিত।” তবে সমাজমাধ্যমে ওই পোস্টে কোথাও রাশিয়ার কথা উল্লেখ ছিল না।

বস্তুত, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কি নিজেও এই ক্রিভি রিগ শহরের মানুষ। এই শহর থেকেই তাঁর উঠে আসা। শুক্রবারের হামলার পরে জাপান, ব্রিটেন, সুইৎজ়ারল্যান্ড, জার্মানির দূতাবাস যে ভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, তার প্রশংসা করেছেন জ়েলেনস্কি। তবে আমেরিকার দূতাবাসের এই প্রতিক্রিয়ায় ‘হতাশ’ হয়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে মার্কিন দূতাবাসের মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, “দুর্ভাগ্যবশত, মার্কিন দূতাবাসের প্রতিক্রিয়া আশ্চর্যজনক ভাবে হতাশাজনক। এত শক্তিশালী একটি দেশ, এত শক্তিশালী মানুষ, তবুও এত দুর্বল প্রতিক্রিয়া। যে ক্ষেপণাস্ত্রে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে বলার সময়ে ‘রাশিয়ান’ শব্দটিও উচ্চারণ করতে তারা ভয় পায়।” জ়েলেনস্কির বক্তব্য, তিনিও চান যাতে যুদ্ধ শেষ হয়। কিন্তু তার জন্য নাম উচ্চারণ করতে ভয় পাওয়া উচিত নয়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে আমেরিকা। দুই দেশের সঙ্গেই আলাদা আলাদা ভাবে বৈঠক করেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে ৩০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি করাতে চাইছে আমেরিকা। রাশিয়া এবং ইউক্রেন দু’দেশই তাতে রাজি হয়েছে। কিন্তু কোন পথে এই চুক্তি কার্যকর হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। এরই মধ্যে রাশিয়া এবং ইউক্রেন একে অন্যের উপর হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে।

Advertisement
আরও পড়ুন