Hafiz Saeed

পহেলগামে হামলায় দায়ী মডিউলের নেতৃত্বে হাফিজ়

সূত্রের খবর, লস্করের মডিউলটি দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে সক্রিয়। হাফিজ় ও তাঁর সহযোগী সইফুল্লা সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি সেটিকে কৌশলগত সাহায্য করে পাক সেনা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ০৮:১৬
হাফিজ় সইদ।

হাফিজ় সইদ। —ফাইল চিত্র।

কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের উপরে হামলায় যুক্ত জঙ্গি মডিউলের নিয়ন্ত্রণ সরাসরি লস্কর ই তইবা প্রধান হাফিজ় সইদের হাতে রয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দা সূত্রের। অন্য দিকে ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে পহেলগামে পৌঁছতে জঙ্গিরা একটি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করেছে বলেও গোয়েন্দা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

Advertisement

সূত্রের খবর, লস্করের এই মডিউলটি দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে সক্রিয়। হাফিজ় ও তাঁর সহযোগী সইফুল্লা সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করে। পাশাপাশি সেটিকে কৌশলগত সাহায্য করে পাক সেনা।

গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সোনমার্গ, বুটা পাথরি ও গান্ডেরবালে একাধিক হামলায় যুক্ত ছিল লস্করের এই মডিউলটি। বুটা পাথরিতে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে একটি হামলায় দুই সেনা-সহ চার জন নিহত হন। সেই মাসেই সোনমার্গে একটি সুড়ঙ্গ নির্মাণে যুক্ত কর্মীদের উপরে হামলা হয়। তাতে এক চিকিৎসক ও ছ’জন শ্রমিক নিহত হন। গোয়েন্দাদের মতে, পহেলগাম হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হাসিম মুসা সোনমার্গের হত্যাকাণ্ডেও জড়িত ছিল। সে লস্করের ওই মডিউলের সদস্য।

গোয়েন্দারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, সোনমার্গের হত্যাকাণ্ডের পরে কুলগামে বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় জুনেইদ আহমেদ বাট। তার দলের বাকিরা পালিয়ে যায়।
সে-ও এই মডিউলের সদস্য ছিল বলে দাবি সূত্রের।

গোয়েন্দাদের মতে, এই মডিউলের অধিকাংশ সদস্য বিদেশি জঙ্গি। তবে কাশ্মীরের বাসিন্দা অনেকেও এর সঙ্গে যুক্ত আছে।

পাশাপাশি গোয়েন্দাদের মতে, পহেলগামে হামলাকারী জঙ্গিরা ত্রাল এলাকার ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হেঁটে বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছেছিল। সে জন্য একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপের সাহায্য নিয়েছিল তারা। সেই অ্যাপের সাহায্যেই ঘন পাইনের জঙ্গল পেরিয়ে বৈসরন উপত্যকায় পৌঁছয় দলটি।

সূত্রের খবর, ওই অ্যাপটির নাম ‘আল্পাইন কোয়েস্ট’। আগেও জম্মুর জঙ্গলে হামলায় জঙ্গিরা এই অ্যাপই ব্যবহার করেছিল। ঘন জঙ্গলে পথ চিনতে সাহায্য করে ওই অ্যাপটি।

সূত্রের দাবি, পাক সেনার মদতেই ওই অ্যাপটি ব্যবহার করা শুরু করেছে জঙ্গিরা। ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে ওই অ্যাপ ব্যবহার করে পহেলগামে পৌঁছতে হবে তার প্রশিক্ষণও জঙ্গিদের দিয়েছিল পাক সেনাই। সূত্রের মতে, অ্যাপটি ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও সক্রিয় থাকে। এর ফলেই ভারতীয় গোয়েন্দাদের নজরদারি এড়াতে পেরেছে জঙ্গিরা। ওই অ্যাপের মাধ্যমে যে কেউ নদী, জঙ্গলে ভরা এলাকায় যাতায়াতের পথ নির্দিষ্ট করতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধের সময়ে এই অ্যাপ ব্যবহার করেছিল রুশ সেনা।

সূত্রের মতে, জুলাইয়ে শুরু হচ্ছে অমরনাথ যাত্রা। এই হামলার মাধ্যমে সেই যাত্রা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি করতে চেয়েছে পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গিরা। সূত্রের দাবি, লস্কর গোষ্ঠীর ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)-এর দু’টি দল ‘হিট স্কোয়াড’ ও ‘ফ্যালকন স্কোয়াড’ এই ধরনের হামলায় দক্ষ। হামলায় ‘ফ্যালকন স্কোয়াড’-এর সদস্যেরা যুক্ত কি না তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।

সংবাদ সংস্থা

Advertisement
আরও পড়ুন