মক্কায় হজযাত্রী সমাগম। — ফাইল চিত্র।
হজ শুরুর আগে সৌদি আরবের ‘সতর্কবার্তা’ এল পাকিস্তানে। আর্থিক সমস্যায় ধ্বস্ত পাক সরকারকে হজযাত্রী বাছাইয়ের বিষয়ে কিছু ‘পরামর্শ’ দিয়েছে সৌদি সরকার। হজযাত্রায় কোটায় আবেদনকারীদের মনোনয়নের বিষয়ে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে ওই বার্তায়। কোনও ভাবেই যাতে ভিখারি কিংবা পকেটমারের মতো ছিঁচকে অপরাধীরা হজের সুযোগ না পান, সে কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্পষ্ট ভাষায়।
হজের পুণ্যার্থীদের নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে প্রতিটি দেশের জন্য কোটা নির্দিষ্ট করে দেয় সৌদি আরব। কোন দেশ থেকে কত জন মক্কায় আসবেন, তা সৌদিকে আগে থেকে জানাতে হয়। কোটার মাধ্যমে আর্থিক সাহায্যও মেলে। সেই কোটার সুযোগে যাতে ভিখারি কিংবা অপরাধীরা ঢুকে পড়তে না পারে সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরব। আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে পাক বিদেশ মন্ত্রককে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, “আমাদের জেলগুলিতে আপনাদের দেশের কয়েদিদের ভিড় জমে গিয়েছে। আর জায়গা নেই।”
হজযাত্রায় সৌদি আরবে থিকথিকে ভিড় হয় প্রতি বছর। ভিড় সামাল দিতে প্রশাসনকেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। হজযাত্রা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা সৌদি সরকারের কাছে বড়সড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে এ বছর সৌদি থেকে ১ লক্ষ ৭৯ হাজার মানুষের কোটা পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে প্রবল আর্থিক সঙ্কটের কারণে এ বছর প্রথমে ইসলামাবাদ তা ফিরিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দেশের অন্দরে বিক্ষোভ তৈরি হওয়ায় কিছু শর্তসাপেক্ষে ‘উমরাহ ভিসা’ কোটায় হজযাত্রায় সম্মতি দেয় পাক সরকার।