Russia

Russia-Ukraine War: হিটলারের ইহুদি নিধনের সঙ্গে তুলনীয় ইউক্রেনে পুতিনের বর্বরতা, দাবি জেলেনস্কির

সেনা এবং সাধারণ নাগরিকদের মারিয়ুপোল ছেড়ে যাওয়ার জন্য মস্কো ‘নিরাপদ পথ’ দেওয়ার কথা জানালেও সোমবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কিভ।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কিভ শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২২ ১৭:২২
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

যুদ্ধের এক সপ্তাহের মাথাতেই মস্কোকে চাপে ফেলতে জরুরি ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি। সোমবার, যুদ্ধের ২৬তম দিনে রাশিয়ার সঙ্গে সমস্ত রকমের বাণিজ্যিক যোগাযোগ বন্ধ করতে ইউরোপের দেশগুলির কাছে আবেদন জানালেন তিনি।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেনার ইউক্রেনে বর্বর হামলাকে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর ইহুদি নির্মূলকরণ অভিযানের সঙ্গেও তুলনা করেছেন জেলেনস্কি। তবে সেই সঙ্গেই একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেনে রাশিয়ার হানাদারি বন্ধ করতে চাই।’’ তাঁর মতে, শান্তি আলোচনা যদি ব্যর্থ হয়, তা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী। রাশিয়ার তরফে সোমবার জানানো হয়েছে, শান্তি আলোচনায় এখনও তেমন কোনও অগ্রগতি ঘটেনি।

গত দু’সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিয়ুপোলে ধারাবাহিক আক্রমণ চালিয়েও দখলদারি কায়েম করতে পারেনি রুশ ফৌজ। বহু সেনা এবং অসামরিক মানুষের মৃত্যুর পরেও ভেঙে পড়েনি প্রতিরোধ। এই পরিস্থিতিতে শহরের প্রতিরক্ষায় নিযুক্ত সেনা এবং সাধারণ নাগরিকদের মারিয়ুপোল ছেড়ে যাওয়ার জন্য পুতিন সরকার ‘নিরাপদ পথ’ দেওয়ার কথা জানালেও সোমবার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে কিভ।

Advertisement

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করেছিল রাশিয়া। তার পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। কিন্তু রাজধানী কিভ-সহ ইউক্রেনের অধিকাংশ বড় শহরই এখনও পুতিন সেনার নাগালের বাইরে। বরং ইউক্রেনে ফৌজ এবং অসামরিক স্বেচ্ছাসেবকদের মরণপণ প্রতিরোধের মুখে পড়ে কয়েকটি এলাকা থেকে পিছু হঠতে হয়েছে রুশ বাহিনীকে। এই পরিস্থিতিতে মারিয়ুপোল ছাড়ার জন্য রুশ বাহিনীর দেওয়া চরম সময়সীমা প্রত্যাখানের পর পরিস্থিতি জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
Advertisement