Volodymyr Zelenskyy

Russia Ukraine War: যুদ্ধের ১০০ দিন: ইউক্রেনের ২০ শতাংশ দখল করেও রাশিয়ার কাছে অধরা কিভ, দাবি জেলেনস্কির

রুশসেনার কিভ দখলের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করেছে ইউক্রেন বাহিনী। এখন মূলত বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস এলাকা রাশিয়ার দখলে।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
কিভ শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২২ ০৫:৪৬
ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ আজ ১০০ দিনে পা দিল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি কিভের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল মস্কো। তার ১০০ দিন পরে আজ পরিস্থিতি ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে? আগ্রাসনে কতটা সফল হয়েছে রাশিয়া? কী বলছে ইউক্রেন?

১০০ দিনে ইউক্রেনের অন্তত ২০ শতাংশ এলাকা দখল করে নিয়েছে রাশিয়া। গত কাল এ কথা জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। তবে রুশসেনার রাজধানী কিভ দখলের স্বপ্ন ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে ইউক্রেন বাহিনী। এখন মূলত বিচ্ছিন্নতাবাদী অধ্যুষিত পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস এলাকা রাশিয়ার দখলে। সেখানে সমান্তরাল শাসন চালানোর চেষ্টা শুরু করেছে মস্কো। তা বলে ইউক্রেনে গোলাগুলি বা ক্ষেপণাস্ত্র হানা থামায়নি তারা। আক্রমণের তীব্রতা কমালেও গোলাবর্ষণ চলছেই।

Advertisement

গত কাল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে দেখা করেছেন নেটোর প্রধান জেন্স স্টল্টেনবার্গ। তিনি বাইডেনকে বলেছেন, এই দীর্ঘ যুদ্ধের প্রভাব ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলির উপরেও পড়ছে। তাদের পাশেও দাঁড়াতে হবে।

গত কাল লুক্সেমবুর্গের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে জ়েলেনস্কি বলেছেন, ‘‘গত ১০০ দিনে হাজার হাজার মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। অসংখ্য ইউক্রেন সেনার পাশাপাশি প্রচুর মানুষকে হত্যা করেছে রুশ সেনা। ওরা আমাদের দেশের অন্তত২০ শতাংশ এলাকা দখলকরে নিয়েছে।’’ তিনি জানান, ডনবাসের অন্তর্ভুক্ত লুহানস্কের সেভেরোডনেস্কে এখনও লাগাতার হামলা চালাচ্ছে রুশ সেনা। কৌশলগত ভাবে সেভেরোডনেস্কের অবস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানের আজ়ট কারখানাটি ইউরোপের বৃহত্তম রাসায়নিক কারখানা বলে পরিচিত। সেই কারখানার প্রশাসনিক ভবনেও হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা। তবে লুহানস্কের গভর্নর সের্গেই গেডে বলেছেন, সবটুকু দিয়ে লড়ছে ইউক্রেনের সেনা। শেষ না দেখে তারা ছাড়বে না।

অন্য দিকে, ইউক্রেনের পাশাপাশি যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু করেছে রাশিয়াও। এমনই কিছু মামলায় ইউক্রন থেকে ‘জোর’ করে শিশুদের রাশিয়ায় ‘চালান’ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মস্কোর বিরুদ্ধে।

ইউক্রেনে একাধিক যুদ্ধাপরাধের তদন্তের দায়িত্বে থাকা জেনারেল ইরিনা বেনেডিক্টোভা জানান, যুদ্ধ শুরুর পর গত ১০০ দিনে পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে রাশিয়ায় ‘জোর করে’ শিশুদের পাচার করা নিয়ে কুড়িটিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি জানান, যুদ্ধবন্দি রুশ সেনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধ-আইন ভাঙা, নিরপরাধ সাধারণ মানুষকে বিনা প্ররোচনায় হত্যা করা, গণহত্যার মতো বিষয়কে মাথায় রেখে মামলা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement