রাশিয়ান সেনার হামলায় ছত্রভঙ্গ শান্ত ইউক্রেন। ছবি - রয়টার্স
গত দু’দিনের যুদ্ধে মারা গিয়েছেন একশোর বেশি ইউক্রেনের সেনা, সাধারণ মানুষও। ছারখার হয়ে গিয়েছে আপাত শান্ত দেশ ইউক্রেন। অবশেষে যুদ্ধ ঘোষণার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার সুযোগ দিল মস্কো। সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী লাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে তার আগে ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র সংবরণ করতে হবে। পাল্টা প্রতিরোধ করা চলবে না।
রাশিয়ার এই হঠাৎ মত পরিবর্তনের কারণ কী? আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের সেনা সঙ্ঘাত শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার উপর চাপ বাড়াচ্ছিল আন্তর্জাতিক মহল। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী-সহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে আলোচনায় বসার অনুরোধও জানান। অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধ ঘোষণার পর রাশিয়াকে দেওয়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন অর্থ সাহায্য এবং অনুদান বন্ধ করে দেয় বহু দেশ। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, চাপে পড়েই ইউক্রেনকে আলোচনায় বসার সুযোগ দিয়েছে মস্কো।
ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন। তারপর থেকেই ইউক্রেনের উপর ক্ষেপণাস্ত্র বর্ষণ করতে শুরু করে দেয় রুশ সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার প্রথম দিনের যুদ্ধেই ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় শহর খারকিভ এবং পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চেরনোবিলের দখল নেয় রুশ ফৌজ। যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে পুতিন বাহিনী পৌঁছে যায় রাজধানী কিভের দোরগোরায়। যেখানে এখনও রয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদেমির জেলেনস্কি। এরপর শুক্রবার বিকেলেই প্রকাশ্যে আসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর ঘোষণা। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা টুইট করে ওই ঘোষণার কথা জানায়। যদিও এ ব্যাপারে পুতিনের প্রতিক্রিয়া বা ইউক্রেনের জবাব পাওয়া যায়নি এখনও।
#BREAKING Russia ready to talk if Ukraine army 'lays down arms': foreign minister Lavrov pic.twitter.com/0c74ciKqUS
— AFP News Agency (@AFP) February 25, 2022