Crime News

কানাডায় স্ত্রীকে কুপিয়ে ‘খুন’ করে পঞ্জাবে মাকে ভিডিয়ো কল, দেখালেন মহিলার রক্তাক্ত দেহ!

কানাডার অ্যাবটসফোর্ড এলাকার একটি বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম বলবিন্দর কৌর (৪১)।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১১:১২
Punjab man stabs wife to death in Canada

প্রতীকী ছবি।

‘‘মা, আমি ওকে (স্ত্রী) চিরঘুমে পাঠিয়ে দিয়েছি’’! কথাগুলি বলার সময় তাঁর গলায় কোনও উত্তেজনা ছিল না। চোখেমুখে ছিল শুধুই আক্রোশ। ছেলের ফোন পেয়ে ভয়ই পেয়েছিলেন লুধিয়ানার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়া। যদিও তাঁর কিছু করার ছিল না। তাঁর ছেলে ছিলেন সুদূর কানাডায়। সেখানেই স্ত্রীকে খুন করে মাকে ভিডিয়ো কল করে জানান পঞ্চাশ বছরের জগপ্রীত সিংহ।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, কানাডার অ্যাবটসফোর্ড এলাকার একটি বাড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় এক মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিশ। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের নাম বলবিন্দর কৌর (৪১)। পুলিশের দাবি, ওই মহিলাকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকেই অভিযুক্ত জগপ্রীতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতার বোন রাজবিন্দর কৌরকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, তাঁর দিদিকে খুন করার পর জগপ্রীত তাঁর মাকে ফোন করে জানান। এমনকি, ভিডিয়ো কলে মেঝেতে পড়ে থাকা বলবিন্দরের রক্তাক্ত দেহও দেখান।

রাজবিন্দরের কথা থেকে জানা যায়, জগপ্রীত সপ্তাহ খানেক আগেই কানাডায় গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর স্ত্রী তাঁদের মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। জগপ্রীত এবং বলবিন্দরের বিয়ে হয় ২০০০ সালে। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। মেয়ে হরনুরপ্রীত কৌর বছর চারেক আগে পড়াশোনা করতে কানাডায় গিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২২ সালে হরনুরপ্রীত অসুস্থ হয়ে পড়েন। মেয়ের শারীরিক অবস্থার কথা ভেবেই বলবিন্দর কানাডায় যান। সেখানেই থাকতে শুরু করেন।

লুধিয়ানায় ছেলেকে নিয়ে থাকতেন জগপ্রীত। কিন্তু তিনি কাজকর্ম ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ রাজবিন্দরের। টাকার জন্য শুধু বলবিন্দরের সঙ্গে অশান্তি করতেন। স্বামীর সমস্ত খরচ চালাতেন বলবিন্দরই। লুধিয়ানাতে থাকাকালীন এক হাসপাতালে কাজ করতেন তিনি। তার পর কানাডায় গিয়ে একটি দোকানে কাজ শুরু করেন। সেখানে থেকেই লুধিয়ানায় স্বামীকে টাকাও পাঠাতেন।

রাজবিন্দরের অভিযোগ, বলবিন্দরকে নানা ভাবে হয়রানি করতেন জগপ্রীত। কানাডায় পৌঁছেও একই কাজ শুরু করেছিলেন। গত ১৫ মার্চ হরনুরপ্রীত বাড়িতে না থাকার সুযোগেই তাঁর দিদির উপর হামলা চালান জগপ্রীত, এমনই অভিযোগ বলবিন্দরের বোনের। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে জগপ্রীতের পরিবার। তাদের দাবি, জগপ্রীত ইচ্ছাকৃত ভাবে তাঁর স্ত্রীকে খুন করেননি। তাঁদের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন
Advertisement