flu

ফ্লুয়ের ওষুধে ঘর ভরাচ্ছে করোনায় ঘরপোড়া চিন, অনলাইন বিপণির বিক্রি বেড়েছে ১০০ গুণ

একটি রিপোর্টে দাবি, চিনে জনপ্রিয় অনলাইন ওষুধ বিপণি ‘তাওবাও’, ‘টিমাল’-এ মার্চের শেষ ১৩ দিনে ফ্লুয়ের ওষুধ বিক্রি হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ১০০টি। যা গত বছর এই সময়ের তুলনায় ১২৯ গুণ বেশি।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৩ ১৫:৪৯
representational image

চিনে আচমকাই ফ্লুয়ের ওষুধ সংগ্রহে হুড়োহুড়ি। — প্রতীকী ছবি।

করোনার বিভীষিকা দেখেছে চিন। এ বার ফ্লু আগমনের খবর পেয়েই গাদাগাদা ফ্লুয়ের ওষুধ সংগ্রহ করছেন চিনের বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এমন যে অনলাইন ওষুধ বিপণিতে ফ্লুয়ের ওষুধের বিক্রি বেড়ে গিয়েছে ১০০ গুণেরও বেশি। ব্লুমবার্গ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই দাবি করা হয়েছে।

ফ্লুয়ের জেনেরিক ওষুধের নাম ‘অসেল্টামিভির’। আতঙ্কে সেই ওষুধই প্যাকেট প্যাকেট অর্ডার করছেন সাধারণ চিনবাসী। ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, চিনে জনপ্রিয় অনলাইন ওষুধ বিপণি ‘তাওবাও’, ‘টিমাল’-য়ে মার্চের শেষ ১৩ দিনে ওই ওষুধ বিক্রি হয়েছে ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার ১০০টি। যা গত বছর এই সময়ের তুলনায় ১২৯ গুণ বৃদ্ধি।

Advertisement

ওই প্রতিবেদনে কথা বলা হয়েছিল সাংহাইয়ের এক বিশেষজ্ঞ ওয়াং রুইঝের সঙ্গে। ওয়াং বলেন, ‘‘করোনা অতিমারি দেখার পর মানুষ অল্পেই ভীত হয়ে পড়ছেন। এ জন্যই দোকানে অর্ডার করে গাদাগাদা ফ্লুয়ের ওষুধ বাড়ি আনছেন। এ ভাবে অপরিকল্পিত ভাবে ওষুধ মজুত করার কারণে প্রয়োজনের সময় তার আকাল দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে বড় সমস্যা, চাহিদা বাড়লে ওষুধের দাম আকাশ ছুঁয়ে ফেলতে পারে। ফ্লু নিয়ে চিকিৎসকেরাও আশ্বস্ত করেছেন। অযথা ওষুধ জমানোর কোনও প্রয়োজনই নেই।’’ কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? ওয়াংয়ের মতে, ‘‘মানুষ এ বার অ্যান্টি ভাইরাল জমাচ্ছেন। আসলে, ফ্লুয়ের প্রকোপ বেশি শিশুদের মধ্যে। তাই মা, বাবারা ঘাবড়ে যাচ্ছেন। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে করোনা অতিমারির সময়ের পরিস্থিতির স্মৃতি।’’

আরও পড়ুন
Advertisement