Pakistan

রমজানের উপবাস রেখে কাজে যোগ দিতে পারবেন না বিমান চালক, কর্মীরা, কড়া নির্দেশ পাকিস্তানে

বিবৃতিতে চিকিৎসকদের সুপারিশের কথাও বলা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, কেউ রোজা রাখলে শরীরে জলের অভাব দেখা দিতে পারে। ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব আসতে পারে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৪ ২২:০৮
image of pia

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

রমজানের রোজা (উপবাস) রেখে কাজে যোগ দিতে পারবেন না বিমান চালক এবং কর্মীরা। কাজে যোগ দিলে রোজা রাখা যাবে না। জানিয়ে দিল পাকিস্তানের সরকারি বিমান সংস্থা পিআইএ (পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস)। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, রোজা রেখে কেউ বিমান চালালে বা তাতে কাজ করলে নিজের পাশাপাশি যাত্রীদের জীবনও বিপদের মুখে ফেলতে পারেন।

Advertisement

বিবৃতিতে চিকিৎসকদের সুপারিশের কথাও বলা হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, কেউ রোজা রাখলে শরীরে জলের অভাব দেখা দিতে পারে। ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব আসতে পারে। এর ফলে বিপাকে পড়তে পারেন বিমান যাত্রীরাই। সে কারণেই বিমান চালক এবং কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ার সময় উপবাস করতে বারণ করেছে পিআইএ। অন্তর্দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক, কোনও বিমানেই কাজ করার সময় রোজা রাখা যাবে না।

কর্মীদের উদ্দেশে যে নির্দেশিকা জারি করেছে পিআইএ, তা প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘ডন’। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘উপবাসের সময় মনোসংযোগ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। শক্তি কমে যায়। এ সব থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, উপবাস রেখে ফ্লাই করা একেবারেই ঠিক নয়। তাতে শুধু আপনাদের নয়, অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। বিমানের ভিতর যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের পাশাপাশি যাঁরা বাইরে রয়েছেন, তাঁদেরও।’’ বিবৃতিতে পিআইএ এও স্পষ্ট করেছে, এর পর থেকে উপবাস করে বিমানে উঠতে দেওয়া হবে না।

২০২০ সালের মে মাসে করাচি বিমানবন্দরের কাছে জনবহুল এলাকায় আছড়ে পড়ে একটি বিমান। মারা যান ১০১ জন। কেন হয়েছিল সেই দুর্ঘটনা, তার রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে দিন কয়েক আগে। সেখানেই দেখা গিয়েছে, চালকের ভুলে ওই দুর্ঘটনা হয়েছে। চালক সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ওই বিমানের দুই চালকের মধ্যে একজন রোজা রেখেছিলেন। রমজানের মাসে কর্তব্যরত অবস্থায় বিমান চালক এবং কর্মীদের রোজার বিষয়ে কড়া নির্দেশিকা নেই কেন, সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে রিপোর্টে।

আরও পড়ুন
Advertisement