Vladimir Putin

তালিবানের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা কি মুছবে মস্কো, সিয়িরার বিদ্রোহীদের ‘বন্ধু’ করতেও রাজি পুতিনের সরকার

‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তালিকায় থাকা দুই গোষ্ঠী তালিবান এবং হায়াত তাহবির আল-শাম (এইচটিএস) নিয়েই আলোচনা তুঙ্গে। অনেকের মতে, রাশিয়ার নতুন আইন বাস্তবায়িত হলে এই দুই গোষ্ঠীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৫১
New Russian law will remove Taliban\\\'s ‘Terrorist’ label

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। —ফাইল চিত্র।

আফগানিস্তানের তালিবান হোক বা সিরিয়ায় নতুন ‘বিদ্রোহী’দের সরকার— রাশিয়া চাইছে দুই দেশকেই বন্ধু করতে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপনের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে রাশিয়া এ বার তালিবানদের উপর থেকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা সরিয়ে দিতে চাইছে। রাশিয়ার সংসদে পাশ হওয়া নতুন আইন সরকারের ভাবনা বাস্তবায়িত করার অন্যতম ধাপ বলে মনে করছেন অনেকে। নতুন আইনে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে যে সব গোষ্ঠীকে রাশিয়ার সরকার ‘সন্ত্রাসী’ বলে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল, কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে তা তুলে নেওয়া হবে। নতুন আইন বলে আদালতের হাতে থাকবে সেই ক্ষমতা।

Advertisement

‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তালিকায় থাকা দুই গোষ্ঠী তালিবান এবং হায়াত তাহবির আল-শাম (এইচটিএস) নিয়েই আলোচনা তুঙ্গে। অনেকের মতে, রাশিয়ার নতুন আইন বাস্তবায়িত হলে এই দুই গোষ্ঠীর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে ভ্লাদিমির পুতিনের সরকার। নতুন আইনে বলা হয়েছে, ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় থাকা কোনও গোষ্ঠী যদি সন্ত্রাসমূলক কাজকর্ম বন্ধ করে থাকে, তবে তাকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।

২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া প্রথম যে গোষ্ঠীগুলিকে ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় যুক্ত করেছিল, তাদের মধ্যে ছিল তালিবান। ২০২১ সালে আফগানিস্তানের তৎকালীন সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে তারা। তবে এখনও পর্যন্ত বিশ্বের কোনও দেশই আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এই আবহে রাশিয়া যদি নতুন আইনের বলে তালিবানকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ তালিকা থেকে বাদ দেয়, তবে তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।

অন্য দিকে, সিরিয়ার এইচটিএস-এর ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করতে পারে মস্কো। ২০২০ সালে এই গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল পুতিন সরকার। তবে দিন কয়েক আগেই রাশিয়ার বন্ধু বাশার আল আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিরিয়ার দখল নেন বিদ্রোহীরা। এইচটিএস গোষ্ঠীই এই পালাবদলে মূখ্য ভূমিকা নিয়েছে। বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাস দখল করতেই দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন বাশার। তবে তা সত্ত্বেও সিরিয়ার নতুন সরকারের বন্ধুত্ব গড়তে উদ্যোগী পুতিন।

Advertisement
আরও পড়ুন