ইয়াসিন এবং মুশাল। — ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জেকেএলএফ-এর নেতা ইয়াসিন মালিকের স্ত্রী মুশাল পাকিস্তানের নয়া তদারকি সরকারের মন্ত্রী হলেন। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক-কাকরের নেতৃত্বাধীন সরকারের মানবাধিকার বিষয়ক দফতরের উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুশালকে। যা তদারকির সরকারের মন্ত্রীর পদ। পেশায় চিত্রশিল্পী মুশাল ধারাবাহিক ভাবে জেকেএলএফ-সহ কাশ্মীর উপত্যকায় সক্রিয় বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন এবং জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে চলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
কাশ্মীর উপত্যকার বাসিন্দা তথা জেকেএলএফ নেতা ইয়াসিনকে ইউএপিএ-র বিভিন্ন ধারায় ২০২২ সালের ২৪ মে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল নিম্ন আদালত। সন্ত্রাসে আর্থিক মদত, সন্ত্রাস ছড়ানো ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন ইয়াসিন। আপাতত তিনি দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেও নিম্ন আদালত সাজা ঘোষণার সময় জানিয়েছিল, ইয়াসিনের মামলা ‘বিরলতম’ শ্রেণিতে পড়ে না। ফলে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় না।
নিম্ন আদালতের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টে আর্জি জানিয়েছে তদন্তকারী এনআইএ। তারা বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণ পেশ করে দাবি করেছে, ইয়াসিন প্রত্যক্ষভাবে সন্ত্রাসের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং নাশকতায় মদতের কাজে যুক্ত ছিলেন। প্রসঙ্গত, মে মাসে ইয়াসিনের সাজা ঘোষণার পরেই তৎকালীন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ টুইটারে লিখেছিলেন, ‘‘আজ ভারতীয় গণতন্ত্র এবং এর বিচারব্যবস্থার একটি কালো দিন। ভারত ইয়াসিন মালিককে শারীরিক ভাবে বন্দি করতে পারে কিন্তু তিনি যে স্বাধীনতার চেতনার প্রতীক, তাকে কখনওই আটকে রাখা যাবে না। বীর স্বাধীনতা সংগ্রামীর যাবজ্জীবন জেলের সাজা কাশ্মীরের জনতার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের লড়াইকে নতুন প্রেরণা জোগাবে।’’