Indian Navy

৪০ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস অভিযান, অপহৃত জাহাজকে সোমালি দস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা

নৌসেনা জানিয়েছে, মাল্টার এই পণ্যবাহী জাহাজটিকে সোমালি জলদস্যুরা অপহরণ করেছিল ২০২৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর। এই জাহাজটিকে ব্যবহার করে সমুদ্রপথে অন্য পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণের চেষ্টা করে তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৪ ০৯:১৫
দস্যুদের হাতে অপহৃত এমভি রুয়েন। ছবি: এক্স।

দস্যুদের হাতে অপহৃত এমভি রুয়েন। ছবি: এক্স।

৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালিয়ে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে মাল্টার পণ্যবাহী জাহাজকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌসেনা। জাহাজের দখল নেওয়া ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে জাহাজের ১৭ কর্মীকেও। নৌসেনা সূত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।

Advertisement

সোমালি জলদস্যুদের হাতে অপহৃত মাল্টার পণ্যবাহী জাহাজ এমভি রুয়েনকে শুক্রবার থেকেই আটক করার চেষ্টা করছিল ভারতীয় নৌসেনা। অপহৃত ওই জাহাজটির পিছু ধাওয়া করে নৌসনার জাহাজ আইএনএস কলকাতা। শনিবার জাহাজটিকে আটক করার চেষ্টা করতেই নৌসেনার জাহাজ এবং হেলিকপ্টার লক্ষ্য করে জলদস্যুরা গুলি চালাতে থাকে। নৌসেনার পক্ষ থেকে জলদস্যুদের সতর্কবার্তা পাঠিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। কিন্তু তার পরেও জাহাজটি নিয়ে এগোতে থাকে জলদস্যুরা। পিছু ধাওয়া করে নৌসেনাও।

অপহৃত জাহাজ থেকে কর্মীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার চ্যালেঞ্জ নেয় নৌসেনা। আইএনএস কলকাতার সঙ্গে এই অভিযানে যোগ দেয় রণতরী আইএনএস সুভদ্রা। ৪০ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানোর পর অবশেষে শনিবার জলদস্যুদের গ্রেফতার করে নৌসেনা। দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত করা এমভি রুয়েনের সমস্ত কর্মীকেও।

নৌসেনা সূত্রে খবর, মাল্টার এই পণ্যবাহী জাহাজটিকে সোমালি জলদস্যুরা অপহরণ করেছিল ২০২৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর। এই জাহাজটিকে ব্যবহার করেই সমুদ্রপথে অন্য পণ্যবাহী জাহাজ অপহরণের চেষ্টা করে তারা। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে নৌসেনা। তারা জানতে পারে মাল্টার পণ্যবাহী জাহাজ নিয়েই জলদস্যুরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের একটি পণ্যবাহী জাহাজকে অপহরণের চেষ্টা করে জলদস্যুরা। কিন্তু আপৎকালীন বার্তা পেয়েই ভারতীয় নৌসেনা দস্যুদের সেই চেষ্টা ভেস্তে দেয়। তার পর থেকেই ওই দস্যুদের ধরার জন্য নৌসেনা অভিযান শুরু করে।

আরও পড়ুন
Advertisement