ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।
এক দিনের মধ্যেই বদলে গিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জীবন। চার বছর আগে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পরে স্বাভাবিক নিয়মেই গুরুত্ব কমেছিল তাঁর। তার পর বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর কার্যত একা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার ভোট-ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতা প্রকাশ্যে আসার পরেই অবশ্য রাতারাতি বদলে যায় ছবিটা। বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের ফোন ধরতে ধরতেই বেলা গড়িয়ে যায় ট্রাম্পের।
প্রসঙ্গত, বুধবার গণনা শেষের ঢের আগেই রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প দ্বিতীয় বারের জন্য হোয়াইট হাউসে প্রবেশের বন্দোবস্ত পাকা করে ফেলেন। এখনও দু’টি প্রদেশে গণনা চলছে। দু’টিতেই এগিয়ে ট্রাম্প। এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত ট্রাম্পের দলের ঝুলিতে ২৯৫টি আসন। আর কমলার দলের ঝুলিতে ২২৬টি আসন।
ট্রাম্পকে দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য শুভেচ্ছা জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ প্রমুখ। শুভেচ্ছা জানিয়ে ট্রাম্পকে ফোন করেন আমেরিকার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসও।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, ভোটের প্রাথমিক ফলাফলে জয়ের গন্ধ পেয়েই বিজয়-ভাষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প। সেই মতো ভারতীয় সময় দুপুর ১টায় ফ্লরিডায় বিজয়-ভাষণ দেন তিনি। পুরনো স্লোগান আওড়ে জানান, তাঁর আমলে জগৎসভায় আমেরিকা আবার শ্রেষ্ঠ আসন লবে। তার পর অবশ্য ট্রাম্পকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। বরং যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজনীতিকের তো বটেই, একাধিক রাষ্ট্রপ্রধানের ফোন ধরতেই ব্যস্ত থাকতে হয় তাঁকে। সমর্থক এবং অনুদানদাতাদের কয়েক জনের সঙ্গেও ট্রাম্প কথা বলেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থাটি।
এপি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের টিম ট্রাম্পের টিমকে বেশ কয়েকটি সমঝোতাপত্রে স্বাক্ষর করার অনুরোধ জানায়। সময় মতো এই স্বাক্ষরগুলি করানো না হলে ভবিষ্যতে প্রশাসনিক কাজকর্ম চালাতে ট্রাম্পকে অসুবিধার মুখে পড়তে হতে পারে বলে জানানো হয়। কী ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সারা যায়, তা নিয়েও ট্রাম্পের টিমের সঙ্গে কথা হয় বাইডেনের টিমের। ফোন-কথোপকথনে বাইডেন এবং কমলা দু’জনেই মসৃণ ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে ট্রাম্পকে আশ্বাস দেন বলে জানিয়েছে এপি।
এপি আরও জানিয়েছে, ফোনে কমলার প্রশংসা করেন ট্রাম্প। বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্টকে ট্রাম্প জানান যে, কমলার পেশাদারিত্ব এবং ধৈর্য দেখে তিনি মুগ্ধ। তার পর দু’জনেই যুক্তরাষ্ট্রকে ঐক্যবদ্ধ রাখার বিষয়ে নিজেদের প্রতিজ্ঞার কথা জানান।