যৌথ বিবৃতি। টুইটার থেকে নেওয়া।
ইংল্যান্ডের হিন্দু ও মুসলিম ধর্মাবলম্বী নেতারা একযোগে শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে জোর সওয়াল করলেন। জারি করলেন যৌথ বিবৃতি। গত সপ্তাহ থেকে যে ভাবে একের পর এক হিংসার ঘটনা ঘটেছে তার অবসানে লিস্টারে হাত হাত রেখে পথে নামলেন দুই সম্প্রদায়েরই নেতারা। প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম উত্তেজনা শুরু হয়।
যৌথ বিবৃতি পাঠরত এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা, লিস্টারের বাসিন্দারা আজ আপনাদের সামনে হিন্দু বা মুসলিম হিসাবে নয়, ভাই-বোন হিসাবে দাঁড়িয়ে আছি।’ লিস্টারে বিভেদমূলক শক্তির কোনও স্থান নেই বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
“We are from one family. We settled here in this city together, we fought the racists together, we built it up together. The recent violence is not who we are as a city.”
— Darshna Soni (@darshnasoni) September 20, 2022
Joint statement on Hindu / Muslim tensions in Leicester pic.twitter.com/PPZLkusMeX
বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘আমাদের দু’টি বিশ্বাস অর্ধ শতাব্দী ধরে পাশাপাশি সৌহার্দ্যমূলক ভাবে বসবাস করছে। আমরা এক সঙ্গে এই শহরে পৌঁছেছিলাম। আমরা একসঙ্গে কতই না বাধাবিপত্তির মুখে পড়েছি। আমরা বর্ণবিদ্বেষের মোকাবিলা করেছি হাতে হাত রেখে। আমরাই এই শহরকে বৈচিত্র এবং সহাবস্থানের পীঠস্থানে পরিণত করেছি।’
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব ইংল্যান্ডের এই শহরে গোলমাল পাকানোর দায়ে এখনও পর্যন্ত ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত ২৮ অগস্ট ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পর থেকেই বিভিন্ন গুজবের বশবর্তী হয়ে একাধিক গোলমালের ঘটনা ঘটে। গত শনি ও রবিবার পথে মিছিলও দেখা যায়।
গোলমাল পাকানোর দায়ে এক ২০ বছরের যুবককে ১০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। লিসেস্টারশিয়র পুলিশের অস্থায়ী প্রধান কনস্টেবল রব নিক্সন জানিয়েছেন, বেশ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাঁরা এই শহরের বাসিন্দাই নন। এমনকি কয়েক জন বার্মিংহাম থেকে এসেছিলেন বলেও দাবি তাঁর।