Jimmy Carter

১০০ বছর বয়সে প্রয়াত আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, জিতেছিলেন নোবেলও

১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন জিমি কার্টার। ২০০২ সালে পেয়েছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কার। ১০০ বছর বয়সি এই প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয়েছে জর্জিয়ায়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭
আমেরিকার শতায়ু প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার।

আমেরিকার শতায়ু প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। ছবি: রয়টার্স।

১০০ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। নোবেল শান্তি পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন। রবিবার জর্জিয়ার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জিমি।

Advertisement

আমেরিকার জর্জিয়া প্রদেশেই জন্ম জিমির। কেরিয়ারের শুরুতে সেখানে বাদাম চাষ করতেন। পরে জর্জিয়ার গভর্নর পদে নিযুক্ত হন তিনি। সেখান থেকে শামিল হন হোয়াইট হাউসের দৌড়ে। আমেরিকার সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই শয্যাশায়ী জিমি। জর্জিয়ায় নিজের বাড়িতেই রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছিলেন। তাঁর পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে, রবিবার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ‘শান্তিপূর্ণ ভাবে’ প্রয়াত হয়েছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। জিমির পুত্র চিপ কার্টার একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘শুধু আমার কাছেই নয়, শান্তি, মানবিকতা এবং নিঃস্বার্থ ভালবাসায় যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁদের সকলের কাছেই আমার বাবা ছিলেন হিরো।’’

আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বয়সি প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিমি। ব্রেন ক্যানসারে ভুগছিলেন। ২০১৫ সালে তাঁর এই রোগ ধরা পড়েছিল। তার পরেও যে তিনি আরও ন’বছর পার করে শতবর্ষ স্পর্শ করবেন, অনেকেই ভাবতে পারেননি। কিন্তু সমস্ত বাধা অতিক্রম করে জীবনের পথে এগিয়েছেন জিমি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে থাকাকালীন জিমির একাধিক কাজ প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। মানবতা এবং সামাজিক অধিকারে জোর দিতেন তিনি। ইজ়রায়েল এবং মিশরের মধ্যে শান্তিস্থাপনেও সক্ষম হয়েছিলেন। তবে খনিজ তেল সমস্যা-সহ একাধিক বিষয়ে তাঁর সরকার সমালোচিতও হয়েছে বার বার।

আমেরিকার এই ডেমোক্র্যাট নেতা প্রেসিডেন্ট পদ ছাড়ার পরেও সক্রিয় ছিলেন। ২০০২ সালে তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন আমেরিকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বেরা।

Advertisement
আরও পড়ুন