শনিবার পাকিস্তানে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৩। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পাকিস্তানে ভূমিকম্প। শনিবার দুপুরে আচমকা কেঁপে ওঠে ইসলামাবাদ এবং সংলগ্ন এলাকার মাটি। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৩। কম্পন অনুভূত হয়েছে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এক আধিকারিককে উল্লেখ করে জানিয়েছে, পাকিস্তানে ভূমিকম্পের ফলে কোনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও জানা যায়নি। তবে বিস্তীর্ণ অংশ জুড়ে কম্পন অনুভূত হয়েছে। মানুষ আতঙ্কিত।
ভারতের জাতীয় ভূকম্পনকেন্দ্র বা ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি-র তথ্য অনুযায়ী, শনিবার বেলা ১টা নাগাদ পাকিস্তানে ভূমিকম্প হয়েছে। কম্পনের উৎসস্থল মাটি থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। ওই স্থান ইসলামাবাদের থেকে খুব দূরে নয় বলেও মানচিত্রের মাধ্যমে জানিয়েছে ভূকম্পনকেন্দ্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের সোপিয়ান, শ্রীনগর, জম্মু-সহ একাধিক জায়গায় কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। সমাজমাধ্যমে ভূমিকম্পের মুহূর্তের বেশ কিছু ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, কম্পন টের পেয়ে বাড়ি, দোকানপাট ছেড়ে অনেকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন। বেশ কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও কম্পন বোঝা গিয়েছে (সেই ভিডিয়োগুলির সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
কিছু দিন আগে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে ভারতের পূর্ব দিকের প্রতিবেশী মায়ানমারের একাংশ। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। তার কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার জোরালো ‘আফটারশক’ (ভূমিকম্প পরবর্তী কম্পন) হয়। তার মাত্রাও ছিল ৬.৭। এই জোড়া কম্পনের অভিঘাতে বহু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ে মায়ানমারে। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েন অনেকে। মায়ানমারের ভূমিকম্পে মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আহত পাঁচ হাজারেরও বেশি। মায়ানমারের সেই ভূমিকম্প টের পাওয়া গিয়েছিল দিল্লি পর্যন্ত। প্রতিবেশী তাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাঙ্ককে ভূমিকম্পের ফলে নির্মীয়মাণ ৩০ তলা বহুতল ভেঙে পড়ে। তার দু’সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানে কম্পন নতুন করে আতঙ্ক ছড়াল।