Centers for Medicare & Medicaid Services

দরিদ্রদের স্বাস্থ্যবিমার দায়িত্বে ‘টিভি ডাক্তার’

আমেরিকার স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে এই সেন্টার আমেরিকার দরিদ্রতম শ্রেণির শিশু, ৬৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স সেই সব মানুষ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের প্রায় বিনামূল্যে চিকিৎসায় সহায়তা করে।

Advertisement
মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায়
বস্টন শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ০৭:১৩
‘সেন্টার্স ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেড সার্ভিসেস’-এর প্রধান হচ্ছেন চিকিৎসক মেমেট অজ়।

‘সেন্টার্স ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেড সার্ভিসেস’-এর প্রধান হচ্ছেন চিকিৎসক মেমেট অজ়। —প্রতীকী চিত্র।

আমেরিকার ‘সেন্টার্স ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেড সার্ভিসেস’-এর প্রধান হচ্ছেন চিকিৎসক মেমেট অজ়। সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা করে বলেছেন, ‘‘আমেরিকা এক ভয়াবহ চিকিৎসা পরিষেবা সঙ্কটের মধ্যে যাচ্ছে। এই দায়িত্ব পালন করার জন্য ডক্টর অজ়-এর থেকে যোগ্যতর কোনও চিকিৎসক নেই।’’ তবে এই নিয়োগ এখনও সেনেটের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।

Advertisement

আমেরিকার স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে এই সেন্টার আমেরিকার দরিদ্রতম শ্রেণির শিশু, ৬৫ বছরের বেশি যাঁদের বয়স সেই সব মানুষ এবং বিশেষ ভাবে সক্ষম মানুষদের প্রায় বিনামূল্যে চিকিৎসায় সহায়তা করে। অর্থাৎ, চিকিৎসা পরিষেবার জন্য দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এই সেন্টারের উপরে নির্ভরশীল। তাই এই সেন্টারের দায়িত্ব কে পাচ্ছেন, সে দিকে অনেকেরই নজর ছিল।

পেশায় হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ এবং শল্যবিদ অজ় আমেরিকার সাধারণ মানুষের কাছে পরিচিত ‘টিভি ডাক্তার’ নামে। জনপ্রিয় টিভি অনুষ্ঠান ‘ওপ্রা উইনফ্রে শো’তে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০০৯-এ শুরু করেন নিজস্ব অনুষ্ঠান ‘দ্য ডক্টর অজ় শো’, চলেছিল ২০২২ পর্যন্ত। সেই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন সময়ে তাঁর নানা মন্তব্যের জন্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন অজ়। এ নিয়ে তাঁকে তলবও করেছিল সেনেট কমিটি। অজ়-এ বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি তাঁর অনুষ্ঠানে নানা ধরনের ‘রোগা হওয়ার ওষুধ’-এর প্রচার করতেন, যেগুলির কার্যকারিতার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অজ় অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক ভাবে কোনও ওষুধের কার্যকারিতার প্রমাণ পেতে অনেক সময়ে লেগে যায়। এই হেল্থ সাপ্লিমেন্টগুলি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য। তাই আমি আমার নিজের পরিবারকেও এগুলি খেতে বলি।’’

২০২০ সালে কোভিড অতিমারির সময়ে আর একটি বিতর্কে জড়ান অজ়। ম্যালেরিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওযুধটিকে তিনি কোভিড ১৯-এর চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জোরদার প্রচার চালিয়েছিলেন। সেই প্রচারে কাজও হয়। ওষুধটিকে সে সময়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ‘গেম চেঞ্জার’ আখ্যা দিয়েছিলেন। পরে অবশ্য সেই ওষুধের আপতকালীন ভিত্তিতে উৎপাদন ও ব্যবহারের অনুমোদন বাতিল করে দেয় আমেরিকার ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’।

স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে বিভিন্ন সেন্টার ও সংস্থার দায়িত্বে একগুচ্ছ নতুন মুখ এনেছেন ট্রাম্প। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ‘ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এর নতুন প্রধান মার্টি মাকারি এবং সার্জন জেনারেল জ্যানেট নেশেইওয়াট। একাধিক ‘েবস্টসেলার’ বইয়ের লেখক মাকারি। আর অজ়ের মতো জ্যানেটও টিভি সঞ্চালক হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

’২২-এ পেনসিলভেনিয়া থেকে সেনেট সদস্য হিসেবে ভোটে দাঁড়ান অজ়। তবে জিততে পারেননি।

আরও পড়ুন
Advertisement