US Strike at Yemen

পশ্চিম এশিয়ায় হামলা শুরু ট্রাম্পের, পর পর গোলাবর্ষণ ইয়েমেনে, মহিলা, শিশু-সহ নিহত ৩১! বার্তা ইরানকেও

জানুয়ারিতে আমেরিকার কুর্সিতে বসার পর থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন ট্রাম্প। এ বার পশ্চিম এশিয়ার দিকেও নজর দিলেন। শনিবার ইয়েমেনে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫ ০৮:০৫
ডোনাল্ড ট্রাম্পের (ডান দিকে) নির্দেশে ইয়েমেনে আমেরিকার বোমাবর্ষণ।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের (ডান দিকে) নির্দেশে ইয়েমেনে আমেরিকার বোমাবর্ষণ। ছবি: পিটিআই।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এ বার পশ্চিম এশিয়ার দিকে নজর দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর নির্দেশে শনিবার লোহিত সাগরের তীরে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করল আমেরিকান সেনাবাহিনী। ইয়েমেনে এই হামলার পর অন্তত ৩১ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের। নিহতদের মধ্যে আছেন মহিলা এবং শিশুরাও। ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধেই মূলত ট্রাম্পের এই অভিযান। এর মাধ্যমে তিনি ইরানকেও বার্তা দিয়েছেন। হুঁশিয়ারির সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘‘আপনারা থামুন, না হলে আকাশ থেকে নরক বর্ষণ হবে।’’

Advertisement

পশ্চিম এশিয়ার প্রান্তে সৌদি আরবের দক্ষিণে ছোট্ট দেশ ইয়েমেন। তার দু’দিকের উপকূল জুড়ে রয়েছে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগর। এক দিকে রয়েছে আরব সাগর। এই জলপথে বহু বাণিজ্যতরী প্রতি দিন যাতায়াত করে। ইয়েমেনের হুথিরা সেই জাহাজ আক্রমণ করে বাণিজ্যে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। আপাতত তা-ই থামাতে বলেছেন ট্রাম্প। ইরানের উদ্দেশে ট্রাম্পের বার্তা, ‘‘অবিলম্বে হুথিদের সমর্থন করা বন্ধ করুন। ইরান থেকে আমেরিকার উপরে যদি কোনও হুমকি আসে, তার দায় সম্পূর্ণ আপনাদের। এর ফল খুব একটা ভাল হবে না।’’

রয়টার্স জানিয়েছে, ইয়েমেনে হুথি পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, শনিবার মার্কিন হামলায় রাজধানী সানায় ১৩ জন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ন’জন। এ ছাড়া, উত্তরের সাডা প্রদেশে আরও ছ’জন মারা গিয়েছেন আমেরিকান গোলার আঘাতে। এঁদের মধ্যে মহিলা এবং শিশুরাও রয়েছেন। এই অংশে আহতের সংখ্যা ১১। পরে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। হুথিরা এই হামলাকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বলে উল্লেখ করেছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘আমাদের ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী এই ধরনের হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত।’’

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত লোহিত সাগরে বাণিজ্যতরী লক্ষ্য করে অন্তত ১০০টি হামলা চালিয়েছে হুথিরা। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতে আমেরিকার সেনাবাহিনীকেও ওই অঞ্চলে লাগাতার সক্রিয় থাকতে হয়েছে। সারা বিশ্বের বাণিজ্যে এর প্রভাব পড়েছে। হুথিদের বক্তব্য, গাজ়ায় ইজ়রায়েলি হামলার বিরুদ্ধে হামাস এবং প্যালেস্টাইনিদের সমর্থনে তাদের এই পাল্টা হামলা।

জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসের কুর্সিতে বসেছেন ট্রাম্প। তার পর থেকে তিনি পূর্ব ইউরোপের রাশিয়া বনাম ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। কোন পথে সেখানে শান্তি ফেরানো যায়, যুদ্ধবিরতির জন্য কী ভাবে উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতা করা যায়, এখনও সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর পশ্চিম এশিয়ায় এটিই তাঁর প্রথম বড় হামলা।

Advertisement
আরও পড়ুন