(বাঁ দিকে) কমলা হ্যারিস। ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগণনা চলছে। রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ডেমোক্র্যাট কমলা হ্যারিসের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিয়ে শুরু হয় নির্বাচন। তবে গণনা যত এগোচ্ছে প্রাথমিক প্রবণতায় ততই কমলাকে পিছনে ফেলছেন ট্রাম্প। তা হলে কি বুথফেরত সমীক্ষাকে ‘ভুল’ প্রমাণ করতে চলেছেন ট্রাম্প? প্রাথমিক প্রবণতায় অন্তত তেমনই ইঙ্গিত করছে। যদিও ফলাফল যে কোনও মুহূর্তে ঘুরতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা।
বুধবার সকাল (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) পর্যন্ত ১৫ প্রদেশে এগিয়ে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তাঁর অর্ধেক প্রদেশে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাটরা। সংবাদমাধ্যম ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প যে ১৫ প্রদেশে এগিয়ে আছে তার মধ্যে ফ্লোরিডা, টেক্সাসের মতো প্রদেশগুলিতে জয়ী রিপাবলিকানরা। সেখানে কমলার ঝুলিতে রয়েছে নিউ ইয়র্ক, ইলিনয়েস-সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশ। আসনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রিপাবলিকানরা এগিয়ে ১৯৮ আসনে এবং ডেমোক্র্যাটরা ১০৯ আসনে।
বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষায় ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকেই এগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু ফলের প্রাথমিক প্রবণতা বলছে অন্য অঙ্কের কথা। এনবিসি-র বুথফেরত সমীক্ষায় বলা হয়েছিল ৪৮ শতাংশ সমর্থন পাবেন কমলা আর ৪৪ শতাংশ ট্রাম্প। এ বারের বুথফেরত সমীক্ষায় জোর দেওয়া হয়েছিল পাঁচটি বিষয়ের উপর। সেগুলি হল— গণতন্ত্র, অর্থনীতি, গর্ভপাত, অভিবাসন এবং বিদেশি নীতি।
তবে এখনও আমেরিকার রাজনীতিতে ‘সুইং স্টেট’ বা ‘ব্যাটেল গ্রাউন্ড স্টেট’ নামে পরিচিত সাত প্রদেশের ফলাফল এখনও জানা যায়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, অ্যারিজ়োনা, নর্থ ক্যারোলাইনা এবং নেভাডা এ বার প্রেসিডেন্ট ভোটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ‘উইনার টেকস ইট অল’ নীতির কারণে এই সাতটি প্রদেশের ভূমিকা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্ণায়ক হতে পারে। আমেরিকায় সাধারণ ভাবে কিছু প্রদেশ সচরাচর ডেমোক্র্যাটদের, কিছু রিপাবলিকানদের সমর্থন করে। কয়েকটি রাজ্যের ক্ষেত্রে এ ধরনের ধরাবাঁধা হিসাব চলে না। তারা কখনও ডেমোক্র্যাট, কখনও রিপাবলিকানদের বেছে নেয়। এগুলোই ‘সুইং স্টেট’। বেশির ভাগ প্রদেশেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। অপেক্ষা শুধু চূড়ান্ত ফলাফলের।
প্রচারের শেষ বেলায় তাই ট্রাম্প এবং কমলা— দু’জনেই আলাদা করে গুরুত্ব দিয়েছেন এই সাত প্রদেশকে। অনেকের মতে, এখন যা ফলাফল দেখা যাচ্ছে, তা মুহূর্তে পাল্টে যেতে পারে এই সাত প্রদেশের ফলপ্রকাশের পরে। তাই এখনই আশা ছাড়ছেন না ডেমোক্র্যাটরাও।