Benjamin Netanyahu

গাজ়ায় সেনা অভিযানের মধ্যেই বিচারের কাঠগড়ায় ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী! দুর্নীতির তিন অভিযোগে

২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ, বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছিল। মামলাগুলো কেস–১০০০, কেস–২০০০ এবং কেস–৪০০০ নামে পরিচিত।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
জেরুসালেম শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৩
বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। — ফাইল চিত্র।

গাজ়ায় যুদ্ধের আবহেই আবার ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় বিচার শুরু হল। গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার এবং তার জবাবে ইজ়রায়েলি সেনার অভিযানের জন্য সাময়িক ভাবে বিচারের কাজ স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সোমবার থেকে জ়েরুসালেমের একটি আদালতে নতুন করে শুনানিপর্ব শুরু হয়েছে বলে ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

Advertisement

২০১৯ সালে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতারণা, ঘুষ, বেআইনি আর্থিক লেনদেন এবং অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছিল। মামলাগুলো কেস–১০০০, কেস–২০০০ এবং কেস–৪০০০ নামে পরিচিত। ইজ়রায়েলি ধনকুবের ব্যবসায়ী ও হলিউড প্রযোজক আরনন মিলচ্যানের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তাঁর স্ত্রী সারা অন্তত তিন লক্ষ ডলারের উপহার পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে প্রথম মামলায়।

অভিযোগ, মিলচ্যানকে আমেরিকার ভিসা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্যাম্পেন, সিগার এমন উপঢৌকন নিয়েছেন নেতানিয়াহু। এক বার কর-ছুটের সময়সীমা এগিয়ে এনেও মিলচ্যানের সুবিধা করে দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু। দ্বিতীয় মামলায় দাবি, ‘ইয়েদিওত আহারনত’ নামে দৈনিকের সম্পাদক আরনন মোজেসের সঙ্গে গোপন চুক্তি হয় প্রধানমন্ত্রীর। মোজেসের কাছ থেকে তাঁর কাগজে সরকারের ইতিবাচক প্রচারের প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেতানিয়াহু ওই কাগজটির প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীকে সাহায্য বন্ধ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার ধনকুবের জেমস প্যাকারের কাছে থেকেও ‘উপহার’ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। অবশ্য অভিযোগ এড়িয়ে নেতানিয়াহুর দাবি, মামলাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরাতেই রাজনৈতিক বিরোধীপক্ষ এবং তাদের ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম ওই ভিত্তিহীন তিনটি অভিযোগ এনেছে।

Advertisement
আরও পড়ুন