Joe Biden-Kamala Harris

ইস্তফা দিন বাইডেন, বাকি মেয়াদকাল প্রেসিডেন্ট করা হোক কমলাকে! প্রস্তাব আমেরিকায়

আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নেবেন তিনি। তার আগে স্বল্প মেয়াদের জন্য হলেও কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চাইছেন আমেরিকার একাংশের জনতা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ১৩:০৯
(বাঁ দিকে) কমলা হ্যারিস এবং জো বাইডেন (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) কমলা হ্যারিস এবং জো বাইডেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

জানুয়ারি মাস পর্যন্ত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে কমলা হ্যারিসকে বসানোর প্রস্তাব উঠল আমেরিকায়। আগামী ২০ জানুয়ারি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আগের দেড় মাস হ্যারিসকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চান বাইডেন-কমলার প্রশাসনের প্রাক্তন কর্মী জামাল সিমন্‌সের। তিনি এক সময়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার কমিউনিকেশন্‌স ডিরেক্টর ছিলেন। জামালের মতে, এখন জো বাই়ডেনের উচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দেওয়া। যাতে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের আগে পর্যন্ত ওই পদে হ্যারিস থাকতে পারেন।

Advertisement

আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’-এ রবিবার এক বিতর্কসভায় প্রথম এই প্রস্তাব দেন জামাল। পরে নিজের সমাজমাধ্যম হ্যান্ডলেও বাইডেনের ইস্তফার দাবি তোলেন তিনি। বাইডেন-কমলার প্রশাসনের সঙ্গে একদা জড়িত থাকায় উভয়ের সঙ্গেই তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসাবে বাইডেন যথেষ্ট ভাল কাজ করেছেন বলেও মত জামালের। তবে এ বার তিনি কমলাকে আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট তথা প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখতে চান।

জামালের মতে, বাইডেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসাবে দুর্দান্ত। তবে তিনি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার মধ্যে একটি কাজ এখনও করেননি। সেটি হল পরিবর্তনশীল হওয়া। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে ইস্তফা দিয়ে কমলাকে সেই পদে বসাতে পারেন। যদিও এ বিষয়টি পুরোপুরি বাইডেনের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন জামাল। তাঁর এই প্রস্তাবের কথা সমাজমাধ্যমে পোস্ট করতেই তাতে প্রচুর প্রতিক্রিয়া যুক্ত হতে শুরু করেছে। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সহমত প্রকাশ করেছেন জামালের সঙ্গে। কেউ আবার ভিন্ন মতও জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, এ বারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের কাছে পরাস্ত হয়েছেন কমলা। তবে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে কমলার। বাইডেনের আমলে ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে তা প্রমাণ করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত। এ বারের নির্বাচন থেকেও বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পর দলীয় প্রার্থী হিসাবে কমলার নাম প্রস্তাব করেছিলেন তিনি। ডেমোক্র্যাট শিবিরও তাতে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোটে জিততে পারেননি।

আমেরিকা এখনও পর্যন্ত কোনও মহিলা প্রেসিডেন্ট পায়নি। কমলা এ বার জিতলে, তিনিই হতে পারতেন প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট। তবে তা হয়নি। বাইডেন ইস্তফা দিয়ে কমলাকে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও প্রেসিডেন্ট পদে বসানো গেলে, তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন আমেরিকার একাংশের জনতা।

আরও পড়ুন
Advertisement