Bangladesh Situation

হাসিনা-শাসনের সেই ‘আয়নাঘরে’ তদন্তকারীদের খুনের চেষ্টা হয়েছিল! দাবি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে

অভিযোগ, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সরকার-বিরোধীদের বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’-এ রাখা হত। নির্যাতন করা হত। কাউকে কাউকে ‘গুম’ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ২২:৫৪
হাসিনার আমলের সেই ‘আয়নাঘর’।

হাসিনার আমলের সেই ‘আয়নাঘর’। — ফাইল চিত্র।

‘আয়নাঘর’-এ তদন্ত যাঁরা করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনটাই দাবি করলেন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। ‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি দাবি করেছেন, সেই ‘আয়নাঘরে টাইমবোমা’ রেখে তদন্তকারীদের খুনের চেষ্টা হয়েছিল। তদন্তকারীরা মোট তিনটি ‘আয়নাঘর’-এর সন্ধান পেয়েছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি। অভিযোগ, বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরোধীদের এই বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’-এ রাখা হত। নির্যাতন করা হত। কাউকে কাউকে ‘গুম’ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ‘গুম’-এর অভিযোগের তদন্তে নেমেই ‘আয়নাঘর’-এ গিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তখনই তাঁদের খুনের চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি তাজুলের।

Advertisement

রবিবার ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের শুনানি শেষে সাংবাদিক বৈঠক করেন তাজুল। সেখানেই তিনি তদন্তকারীদের এই খুনের চেষ্টার দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ‘গুম’-এর অভিযোগের তদন্ত করছে। ‘আয়নাঘর’-এর ভিতরে ভূগর্ভস্থ কুঠুরিগুলি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। অভিযোগ ছিল, ‘আয়নাঘর’-এর বেশ কিছু কুঠুরিতে দেওয়াল তুলে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাজুল জানিয়েছেন, সেই দেওয়াল ভেঙে ফেলা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কুঠুরিগুলি আবর্জনা দিয়ে ভরা ছিল। সে সব সরিয়ে অপরাধস্থল খতিয়ে দেখা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর। সেখানে বোমা রাখা ছিল। সেই বোমাগুলির সঙ্গে টাইমার রাখা ছিল। যাঁরা তদন্ত করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের হত্যা করারও চেষ্টা করা হয়েছে।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, বিভিন্ন ‘জটিলতা’-র কারণে তদন্ত কোন পথে এগিয়েছে, তা প্রকাশ করা হয়নি।

গত মাসে এই ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। তাঁর দফতরের তরফে বন্দিশালার ভিতরের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছিল।

গত ৫ অগস্ট হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন এবং দেশ ছাড়েন। তার পর ৮ অগস্ট সে দেশে গঠিত হয় ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। হাসিনার সময়কালে বাংলাদেশের বহু সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে অন্তর্বর্তী সরকার। উঠে আসে ‘আয়নাঘর’-এর কথা। হাসিনা সরকার-বিরোধীদের ‘গুম’ করার অভিযোগও ওঠে। ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই তদন্ত যাঁরা করতে গিয়েছিলেন, তাঁদের খুনের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করল আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল।

Advertisement
আরও পড়ুন