US-Iran Nuclear Talk

পশ্চিম এশিয়ায় আরও রণতরী পাঠালেন ট্রাম্প! পরমাণু-বৈঠকের মুখে ইরানকে চাপে রাখার কৌশল?

ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হয়, তা হলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা!

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:৩৫
Before nuclear talk with Iran second US Aircraft Carrier has reached Middle East

—ফাইল চিত্র।

পরমাণু চুক্তি নিয়ে শনিবার আলোচনায় বসছে আমেরিকা এবং ইরান। তার আগেই পশ্চিম এশিয়ায় সামরিক তৎপরতা বাড়াল পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার উপসাগরীয় অঞ্চলে পৌঁছেছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন। মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টিকম)-এর তরফে বৃহস্পতিবার এক্স পোস্টে এ কথা জানানোর পরেই তৈরি হয়েছে জল্পনা।

Advertisement

ইয়েমেনে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গত বছর থেকে উপসাগরীয় অঞ্চলে মোতায়েন রয়েছে আর এক মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস হ্যারি ট্রুম্যান। সেন্টিকম জানিয়েছে, ইউএসএস কার্ল ভিনসনকেও একই উদ্দেশ্যে সেখানে পাঠানো হয়েছে। যদিও তাদের ‘ঘোষিত উদ্দেশ্য’ সম্পর্কে সংশয় তৈরি করেছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরই বৃহস্পতিবারের বিবৃতি। তাতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন, যদি পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হয়, তা হলে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ করতে পারে আমেরিকা!

গত ১৫ মার্চ থেকে ইরানের মদতপুষ্ট হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিঘাত জোরালো করেছে আমেরিকা। কিন্তু ইয়েমেনের ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের গতি বাড়ানোর জন্য এপথ-৩৫ স্টেল্‌‌থ যুদ্ধবিমান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাবাহী ইউএসএস কার্ল ভিনসনকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে নিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা ছিল কি না, তা নিয়ে সন্দিহান প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের অনেকেই। তাঁদের মতে পরমাণু চুক্তি নিয়ে তেহরানের উপর চাপ বাড়াতেই ট্রাম্পের এই কৌশল।

Advertisement
আরও পড়ুন