Bangladesh Situation

দু’টি মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ২৪ জুনের মধ্যে, সময়সীমা বাড়াল ট্রাইবুনাল

হাসিনার বিরুদ্ধে দু’টি মামলায় তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বৃদ্ধি করল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:২০
শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।

দু’টি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করার সময়সীমা বৃদ্ধি করল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল (আইসিটি)। আগামী ২৪ জুনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

Advertisement

সরকারি কৌঁসুলি তদন্তপ্রক্রিয়া শেষ করার সময়সীমা বৃদ্ধি করার আর্জি জানিয়েছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি মহম্মদ গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইবুনাল সময়সীমা বৃদ্ধির ওই নির্দেশ দেন। ট্রাইবুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মহম্মদ শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মহম্মদ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

বাংলাদেশে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের’ সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হাসিনা। হাসিনার পাশাপাশি এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের প্রাক্তন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ মামুনকেও। রবিবার তাঁকে ট্রাইবুনালে হাজির করানো হয়।

বিচারবিভাগীয় হত্যা এবং গুম করার অভিযোগেও হাসিনাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এর আগে এই মামলাতেই ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইবুনাল। এই ১১ জনের মধ্যে হাসিনা ছাড়াও রয়েছেন বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রাক্তন মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। এই মামলার তদন্ত প্রক্রিয়াও শেষ করতে হবে আগামী ২৪ জুনের মধ্যে।

এ ছাড়াও ‘গণঅভ্যুত্থানের’ সময় মানবতাবিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত আর এক মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন সড়ক পরিবহণ এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের-সহ আওয়ামী লীগ সরকারের ৪৫ জন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, আমলার বিবিরুদ্ধে তদন্ত-রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় বাড়িয়ে ২০ জুলাই করা হয়েছে। এই মামলার অভিযুক্তদের মধ্যে ১৭ জনকে রবিবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাগুলির বিচারের উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে হাসিনার আমলেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছিল। এই ট্রাইবুনাল ইতিমধ্যে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অনেকের বিচার হয়েছে। ফাঁসি-সহ বিভিন্ন মেয়াদের জেলের শাস্তি কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী সময়ে হাসিনার পতনের পরে পুনর্গঠন করা হয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।

Advertisement
আরও পড়ুন