পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিবৃতি প্রকাশ করল মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। —ফাইল চিত্র।
দেরিতে হলেও জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও হামলা নিয়ে বিবৃতি দিল বাংলাদেশ। মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ মন্ত্রক বুধবার দুপুরে এ বিষয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তার কিছু পরে পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন খোদ ইউনূস। জানিয়েছেন, ভারতের এই ঘটনার তীব্র বিরোধিতা করছে বাংলাদেশ। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে জঙ্গিদের গুলিতে। ওই দিন সন্ধ্যায় খবরটি প্রকাশ্যে আসার পরেই আমেরিকা থেকে শুরু করে ব্রিটেন, রাশিয়া, চিনের মতো দেশগুলি হামলার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছিল। ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যেও অনেকে মুখ খুলেছিল মঙ্গলবারেই। পহেলগাঁও হামলার বিরোধিতা করে শ্রীলঙ্কা, ভূটান, নেপাল। কিন্তু বাংলাদেশের তরফে কোনও বিবৃতি আসেনি মঙ্গলবার। ইউনূসের বক্তব্য জানতে বুধবার দুপুর গড়িয়ে গেল।
দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করা হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, ‘‘ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে যে জঙ্গি হামলা হয়েছে, বাংলাদেশ তার তীব্র বিরোধিতা করছে। নিষ্পাপ মানুষের প্রাণ গিয়েছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। এই অর্থহীন হিংসায় যাঁদের ক্ষতি হয়েছে, তাঁদেরও আন্তরিক সমবেদনা জানানো হচ্ছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই অবস্থানে অটল।’’
বিদেশ মন্ত্রকের বিবৃতির ঘণ্টাখানেক পর সমাজমাধ্যমে পৃথক বিবৃতি দিয়েছেন ইউনূস নিজে। তিনি লিখেছেন, ‘‘কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং প্রাণহানির ঘটনায় আমার গভীর সমবেদনা রইল। এই জঘন্য অপরাধের তীব্র বিরোধিতা করছি আমরা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান বরাবর দৃঢ়, তা পুনর্ব্যক্ত করলাম।’’
পহেলগাঁওয়ের ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ফ্রান্স, ইটালি, ইজ়রায়েল, ইরানও। এই ঘটনার সঙ্গে যোগাযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। যদিও সেখানকার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লশকর-এ-ত্যায়বার শাখা দ্য রেসিসট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) পহেলগাঁও হামলার দায় স্বীকার করেছে। সেই আবহেই এ বার বিবৃতি এল ঢাকা থেকেও।